ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এই হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে ভারি বোমাবর্ষর্ণে কমপক্ষে ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ বোজুম জানান, জাবালিয়া ক্যাম্পের বহু মানুষ ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিমান হামলার সময় আগের হামলা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার করছেন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
জানা গেছে, হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহার করা পাঁচটি বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সামরিক বাহিনী হামাসের একটি ‘মনিটরিং সেন্টারে’ বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত এক হাজার ৫৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫০০ শিশু এবং ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয় হাজার ৬১২ জন।
শুধু বোমা হামলা নয়, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করেছে ইসরাইল। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং পানিসহ বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজার সব জিম্মি মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না।