সংরক্ষিত আসনে নতুন মুখ চায় আ.লীগ

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক নয়, আওয়ামী লীগ চাইছে নতুন মুখ। তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ১৪ দল শরিকদের পছন্দে সুযোগ দেয়া হতে পারে তিন থেকে চারজনকে।

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচিত ৬২ সংসদ সদস্য। এতে ৫০ আসনের ৪৮টিই পাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। আর বাকি দুটি পাচ্ছে জাতীয় পার্টি।

চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে এর তফসিল। একই সময়ে মনোনয়ন ফর্ম দেয়া শুরু করবে আওয়ামী লীগ। তবে এক্ষেত্রে সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারীদের দেখতে চান বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, রাজপথে সক্রিয় থাকাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে।

আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘সেখানটায় শিল্পী থাকবেন, তৃণমুল রাজনীতিবীদরা থাকবেন। সেখানে সমাজকর্মীরা থাকবেন। সেখানে অনেক ত্যাগী নেতার পরিবার থেকে সদস্যরা থাকবেন। যদি দল মনে করে, আমার সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বা এরকম প্রক্রিয়ার মধ্যে গিয়ে আমি শেষ পর্যন্ত এই জায়গায় পৌঁছাতে পারি, তবে নিশ্চই যেভাবে কাজ করে আসছি, সেভাবেই কাজ করে যাব।’

যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। বলতে পারেন, আমি একেবারে সামনে থেকে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। ছাত্রলীগে রাজনীতি করেছি, যুবলীগে রাজনীতি করেছি। এরপরে যুব মহিলা লীগে সম্পৃক্ত হয়েছি। দীর্ঘদিনের রাজনীতি যারা করেছে, আমার চাওয়া থাকবে যে তাদেরকেই জননেত্রী মূল্যায়ণ করবেন।’

একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন ৪৩ জন। এবার সরাসরি ভোটে জিতে এসেছেন তাদের চার জন। বাকি ৩৯ জনের অল্প কজনকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আবার ফেরালেও বেশির ভাগই আসতে পারে নতুন মুখ। আর এতে গুরুত্ব পাবেন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানেরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সব সেক্টর থেকেই, সাংস্কৃতিক, সমাজসেবী, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি সব জায়গা থেকেই অল্প বয়স, বেশি বয়স সব মিলিয়েই কিন্তু মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই নারী আসনগুলো পূর্ন করে থাকেন।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘অনেক নারী নেত্রী আছেন যাদের ত্যাগ এবং দীর্ঘদিন এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন। হয়ত অদল বদল করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেন। হয়ত সেই বিবেচনায় কেউ বাদ পড়বেন, কেউ নতুন আসবেন এরকম করেই হবে ব্যাপারটা।

এছাড়া দলের মনোনয়নবঞ্চিত, লেখক-শিল্পী থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকেও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হতে পারেন দু-তিনজন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.