ভয়াবহ দাবানলের সাথে লড়াই করছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি। দেশটির বনাঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পরা তীব্র দাবানলে অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ রবিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চিলির মধ্যাঞ্চলে ১০ লাখ বাসিন্দার আবাস্থল ভালপারাইসো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। হেলিকপ্টার এবং ট্রাকের মাধ্যমে দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে শহরটি।
চিলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় পর্যটন শহর ভিনা ডেল মার এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলো। উদ্ধারকারী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চিলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেন, ‘রাস্তায় মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে, এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে যে আমরা আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমরা আরও বেশি মৃতের পরিসংখ্যানে পৌঁছতে যাচ্ছি।‘
একদিনের মধ্যে দাবানলে ৪৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিলির স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবং প্রবল বাতাসের কারণে দাবানল আরও তীব্র রূপ ধারণ করেছে।
এছাড়া কিছু সক্রিয় দাবানল শহরাঞ্চলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
গ্রীষ্ম মৌসুমে চিলিতে দাবানল অস্বাভাবিক নয়। গত বছরও রেকর্ড তাপপ্রবাহের পাশাপাশি দাবানলের কারণে প্রায় ২৭ জন মারা গিয়েছিল দেশটিতে। এছাড়া দাবানলে ৪ লাখ হেক্টর (৯ লাখ ৯০ হাজার একর) এরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।