জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ পাওয়ার প্রস্তাবের ওপর হওয়া ভোটাভুটিতে ভিটো দিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যকার সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে; জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বৃহস্পতিবার যে খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়েছে, তাতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার জন্য ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি সদস্য দেশ। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। আর ভিটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। কিন্তু সেই আবেদন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ কমিটিতে মতৈক্য না হওয়ায় সেটি নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হয়নি।
এরপর গতবছর অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও জাতিসংঘ সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।
কিন্তু ফিলিস্তিনের এই আবেদন নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধরণ পরিষদের অনুমোদন না পেলে তারা জাতিসংঘে সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে যোগ দিতে পারবে না।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হওয়ার কারণে সংস্থাটির সহযোগী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় তারা যোগদানের সুযোগ পায়। কিন্তু জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন কোনও ভোটাধিকার পাবে না।