হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের প্রধান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আক্রমণটি ইসরাইলি বাহিনীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে বলেই জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
গতকাল বুধবার মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা ইসরাইলের হাহোটরিম বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা ইসরাইলি বিমান বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখানে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম, পরিবহন ইউনিট এবং একটি ইঞ্জিন কারখানা রয়েছে।
ঘাঁটিটি দখলকৃত হাইফা শহরের দক্ষিণে এবং লেবানন-ফিলিস্তিন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
হিজবুল্লাহ জানায়, এই হামলাটি তাদের ‘খাইবার অপারেশন’ সিরিজের একটি অংশ। অপারেশনটি ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ঘাঁটি এবং অন্যান্য কৌশলগত স্থানগুলোতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়াও হিজবুল্লাহ ইসরাইলের হুনিন ব্যারাকে রামিম ব্রিগেডের কমান্ড সেন্টারে একটি ড্রোন হামলা চালায়। সেখানে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহ আরও জানায় যে, তারা শেখ দান্নুন গ্রামের উত্তরে অবস্থিত ইসরাইলি বাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশনের একটি লজিস্টিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে এবং আক্কা শহরের উত্তরে শ্রাগা ঘাঁটিতেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানগুলোর অংশ হিসেবে তেলআবিবের দক্ষিণে অবস্থিত তেলনফ বিমান ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। আর এসব হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।