সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী হচ্ছেন হাবিবুর রহমান

বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের (বেবিচকে) প্রধান প্রকৌশলী হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার ডিপিসির এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক কতৃপক্ষ।  বৈঠকে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজকে  ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  ডিপিসির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বরও কতৃপক্ষের প্রি-ডিপিসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।   জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচলের সদস্য প্রশাসনের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের একাধিক সদস্যগণ। তবে অনুষ্ঠিত প্রি-ডিপিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বেবিচক চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের কোন প্রতিনিধি। ওই বৈঠকেও হাবিবুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলী করার সর্বসস্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি ও বেবিচক চেয়ারম্যান না থাকায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আবারও  ডিপিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে চুড়ান্তভাবে বেবিচকের পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানাগেছে আগামী রোববার এই ব্যাপারে অফিসিয়ালি ঘোষনা দেওয়া হবে। হাবিবুর রহমান বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি কতৃপক্ষের সিভিল বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ছিলেন।

 জানা গেছে, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান একজন মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তিনি পুরো সময় বেবিচকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তাকে প্রকৌশল বিভাগ থেকে বের করে দিয়ে ফ্লাইট সেফটি বিভাগে পদায়ন করা হয়েছিল। যেখানে তার কোন কাজই ছিল না।  তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে নানা ভাবে শাস্তিও দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক উড়ো চিঠি দিয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে দুদকে পর্যন্ত তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বেবিচক সুত্র জানায়, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের হাত ধরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যাপক উন্নতি হয়। তিনি ছিলেন কক্সবাজার বিমানবন্দর  উন্নয়ন কাজের প্রকল্প (পিডি) পরিচালক। তিনি ছিলেন সিভিল সার্কেল-১ এর তত্বাবধায়ক প্রকেশৈলী। মেধাবী প্রকেৌশলী হাবিবুর রহমানের হাত ধরে উন্নয়ন হয় বেবিচক  গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিমানবন্দর। এর মধ্যে রয়েছে খানজাহান আলী বিমানবন্দর উন্নয়ন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নয়ন, ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ ও নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ এবং প্যারালাল টেক্সিওয়ে নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান টার্মিনালের সম্প্রসারণ নবরূপায়ণ এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে সম্প্রসারণ। সিলেট বিমান বন্দরের উন্নয়নকাজেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
–এমএম
আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.