সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দিতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে লন্ডনের পাঁচ স্কুল ছাত্রীকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি। এর আগে বিদেশে যাওয়া তিন ব্রিটিশ ছাত্রী সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দিয়েছে এমন ধারণা থেকে এরাও আইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া যেতে পারে এ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
গত সপ্তাহে হাই কোর্টের বিচারক অ্যান্থনি হেইডেন সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে ১৫-১৬ বছরের পাঁচ কিশোরীকে বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখেন।
বিচারক পূর্ব লন্ডনের এই পাঁচ কিশোরীকে আদালতের হেফাজতে নেন। এর ফলে তারা আদালতের অনুমতি ছাড়া ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আওতার বাইরে যেতে পারবে না।
বিচারক ওই পাঁচ কিশোরী এবং তাদের প্রতিপালকের দায়িত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন প্রাপ্ত বয়স্কেরও পাসপোর্ট জব্দ করেন। এর কারণ হিসেবে বিচারক বলেছেন, অন্তত একটি ক্ষেত্রে এক কিশোরী তার এক আত্মীয়ের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ গমন করেছে।
হেইডেন শুক্রবার জানান, পাঁচ কিশোরীর চারজনই পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন একাডেমির ছাত্রী।
এর আগে খাদিজা সুলতানা (১৬), শামিমা বেগম (১৫) ও আমিরা আব্বাসী নামে তিন ব্রিটিশ ছাত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রথমে ইস্তান্বুল যায়। পরে তারা সেখান থেকে সিরিয়া গিয়ে ইসলামিক স্টেট জিহাদিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তারা দুই মাস আগে যাওয়া তাদের এক সতীর্থকে অনুসরণ করে।
বিচারক বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বীকার করতে হবে যে এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় শিশুদের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও খবর