৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘রেসিডেন্ট এভিল’ সিরিজের শেষ ছবি ‘রেসিডেন্ট এভিল: দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার’। জাপানি ভিডিও গেম প্রোডাকশন হাউস ক্যাপকমের জনপ্রিয় ভিডিও গেম সিরিজ ‘রেসিডেন্ট এভিল’ অবলম্বনে ১৫ বছর আগে এই সিরিজ শুরু হয় হলিউডে।
২০১২ সাল পর্যন্ত এই সিরিজের একে একে পাঁচটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছে। এবার আসছে ষষ্ঠ ছবি। এর মাধ্যমে সিরিজটির সমাপ্তি ঘটছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক অ্যাকশন হরর এ ছবির গল্প, স্ক্রিপ্ট এবং পরিচালনা করেছেন প্রথম এবং পঞ্চম পর্বের পরিচালক পল ডব্লিউ এস অ্যান্ডারসন। ২০০২ সালে মুক্তি পায় সিরিজের প্রথম ছবি।
মানব সম্প্রদায়কে রক্ষার এক কঠিন মিশনে অ্যালিস চরিত্রে অভিনয় করা মিলা জোভোভিচের একক সংগ্রামই ছবির মূল গল্প। সিরিজের প্রতিটি ছবিতে অ্যালিস চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিলা জোভোভিচ। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তার কারণেই ছবিটি মুক্তি পেতে দুই বছরেরও বেশি দেরি হলো।
২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়ার লক্ষে আগের বছর এর চিত্রায়ন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু পরিচালক পলের এই অর্ধাঙ্গিনী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় এ পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। সিরিজটির অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই সবগুলো পর্বে অভিনয় করেছেন। পুরনো কিস্তিগুলোর অন্য তারকাদের মধ্যে আলি লার্টার, আয়ান গ্লেন ও মিলার দ্বিতীয় স্বামী শন রবার্টস ‘রেসিডেন্ট এভিল: দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার’-এ ফিরেছেন। এর মধ্যে অভিনেত্রী আলি লার্টার ২০১০ সালের ছবি ‘রেসিডেন্ট এভিল: আফটার লাইফ’-এর পর আবার অভিনয় করেছেন ক্লেয়ার রেডফিল্ড চরিত্রে।
এবারের ছবিতে দেখা যাবে, অ্যাপোক্যালিপসদের মধ্যে বেঁচে থাকা শেষ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে আমব্রেলা করপোরেশন। মৃত কিন্তু জীবিত আত্মার দৌরাত্ম্যে মানবতা টিকিয়ে রাখার শেষ আশা অ্যালিস। তাই সে বন্ধুদের নিয়ে ফিরে যায় রেক্কুন সিটিতে। যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো এই মরণখেলা। এদিকে আমব্রেলা কর্পোরেশন এলিসের সুপার হিউম্যান পাওয়ার শেষ করে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা কিছুটা সফলও হয় বটে। যার ফলে অ্যালিসের জন্য মিশনটি বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বেলহারে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ছবিটির শেষ দিনের চিত্রায়ন হয়। সেদিন কেপটাউনে সম্মেলনে অংশ নিতে উপস্থিত বেশ কয়েকজন ইউটিউবার এই পর্বে জোম্বির ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পায়। গেম সিরিজ নিয়ে নির্মিত মুভি সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিরিজ ‘রেসিডেন্ট এভিল’। এই সিরিজের মোট ছয়টি ছবি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার। আর আয় হয়েছে এ পর্যন্ত ৯১৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আশা করা হচ্ছে শেষ কিস্তিতেও বাজিমাত করবে ছবিটি।