গোলাম আযমের পরিবার কিভাবে ভিআইপি মর্যাদা পায় : হাইকোর্ট

golam-azamগোলাম আযমের স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনকে কিভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যক্তির (ভিআইপি) মর্যাদা দেওয়া হলো তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে জানাতে বলা হয়েছে।

দৈনিক জনকণ্ঠে গত ৯ এপ্রিল ‘গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজা ফেরত গেলেন বিমান বন্দর থেকে’ প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়।

বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের আত্মীয় হয়েও বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, উত্তরা জোন পুলিশের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, শাহজালাল বিমান বন্দরের পরিচালন গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন ও দেলেনা বেগমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে পত্রিকার সংবাদ উপস্থাপন করেন মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।

প্রকাশিত সংবাদে রয়েছে, ‘গত ৮ এপ্রিল সৌদি আরব যাওয়ার সময় গোলাম আযমের স্ত্রী ও তার সঙ্গে থাকা গোলাম আযমের ভাতিজা লুৎফুল কবির, পুত্রবধূ তাসনীম আঞ্জুম বিমানবন্দরের ভিআইপি দিয়ে ইমিগ্রেশন করানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। গোয়েন্দারা যখন নিশ্চিত হন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন তাদের পরিচয় গোপন রেখে ভিআইপি মর্যাদার ব্যবস্থা করেন তখন এ নিয়ে তোলপাড় চলে।

রিপোর্টে আরেও বলা হয়, গোলাম আযমের স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগম ছিলেন। দেলেনা বেগম ভিআইপি মর্যাদা পান, তার সাথে গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনেরা ভিতরে প্রবেশ করেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.