সিডিউল মোতাবেক ১৬৪ জন যাত্রী নিয়ে উড়লো করলো ইউএস-বাংলার কুয়ালালামপুরগামী প্রথম ফ্লাইট। বুধবার (১ মার্চ) সিডিউল সময় রাত ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে উড়াল দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটটি। কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় রাত ২টায় পৌঁছায় বলে জানা গেছে।
ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ফ্লাইট শুরুর পূর্বে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা যাত্রীসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আর যাত্রা শুরুর পর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ, রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ইন-ফ্লাইট সুবিধা। আমাদের কাছে সব যাত্রীই ভিআইপি। আমরা শুরু করতে যাচ্ছি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিমানবন্দরে ওয়েজ আরনারস ডেক্স যেখান থেকে যাত্রীদের সব প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের একটি সেরা এয়ারলাইন্সের মর্যাদা লাভ করেছে। আশা করছি নিকট ভবিষ্যতে এশিয়ার একটি অন্যতম সেরা এয়ারলাইন্সের মর্যদা লাভ করবে।
ইউএস-বাংলার ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ওয়ানওয়ের জন্য সর্বনিন্ম ভাড়া ২০ হাজার ৪৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাড়ায় সবধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জ অন্তর্ভূক্ত। প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে শুক্র ও শনিবার ব্যতীত প্রতিদিন সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রাত ৮টায় কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় রাত ২টায় পৌঁছাবে। এছাড়া কুয়ালালামপুর থেকে শনি ও রোববার ব্যতীত প্রতিদিন স্থানীয় সময় রাত ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং ভোর ৫টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
এছাড়া আগামী ৯ মার্চ থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া স্বল্পসময়ের মধ্যে ব্যাংকক, দোহা, গুয়াংজু রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। খুব শিগগিরই ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরও একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে মাস্কাট, কলকাতা ও কাঠমুন্ডু রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে নিয়মিতভাবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।