২০১৯ থেকে ভারতের সব বিমানবন্দরে চালু হবে বডি-স্ক্যানার।
নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে দেহ-তল্লাশি নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। রক্ষীরা সারা দেহে হাত বুলিয়ে তল্লাশি চালাবেন, এটা অনেক যাত্রীরই নাপসন্দ। তাই বিদেশের বহু বিমানবন্দরে এখন যন্ত্রের সাহায্যে দেহ-তল্লাশি হয়। ‘বডি স্ক্যানার’ নামে সেই যন্ত্র ভারতে এনে পরীক্ষামূলক ভাবে তল্লাশির কাজও শুরু করেছিল বিমান মন্ত্রক। সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকে ভারতের সব বিমানবন্দরে চালু হতে চলেছে ‘বডি স্ক্যানার।’
উন্নত প্রযুক্তির এই স্ক্যানারের বৈশিষ্ট্যগুলো খুব শীঘ্রই প্রকাশ্যে আনবে দ্য ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)। এই স্ক্যানার দিয়েই ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে দেহ-তল্লাশির কাজ শুরু হবে। বিসিএএসের প্রধান কুমার রাজেশ চন্দ্রের কথায়, ‘‘ট্রায়াল রানে সাফল্য মেলার পরই আমরা এই পদ্ধতি চালু করার কথা ভেবেছি। আগামী বছরের শুরুতেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হবে।’’
তিনি জানিয়েছেন, অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেশন বোর্ড ফুল ট্রান্সমিশন স্ক্যানারের অনুমতি দেয়নি। কারণ এই ধরনের স্ক্যানারের থেকে বার হওয়া রশ্মি যাত্রীদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ওয়েভ বডি স্ক্যানারের কথাই ভাবা হয়েছে।
কোনও যাত্রী বোর্ডিং কার্ড নিয়ে যখন বিমানের দিকে এগিয়ে যান, তখন মাঝপথে একটি জায়গায় তাঁর দেহ এবং হাতব্যাগ তল্লাশি করা হয়। কেউ অস্ত্র, নিষিদ্ধ বা বিপজ্জনক বস্তু নিয়ে গেলে বডি স্ক্যানারে সেটা ধরা পড়ে। স্ক্যানারের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় যন্ত্রই দেহ তল্লাশির কাজ করে। রক্ষীদের আর আলাদা করে যাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে তল্লাশির প্রয়োজন পড়ে না।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সময় বডি স্ক্যানারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিল সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স)। তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, ব্যস্ত সময়ে দেহ-তল্লাশিতে রাজি হন না অনেকেই। অনেক সময় নিরাপত্তাকর্মীর অভাবে বা অসাবধানতা বশত নিরাপত্তার ফাঁক গলে পাচারকাজ চলে বিমানবন্দরে। সব কিছুকেই মাথায় রেখে তাই বডি-স্ক্যানারের ট্রায়াল শুরু করেছিল বিসিএএস। আগামী বছরের মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দরে আধুনিক প্রযুক্তির স্ক্যানার চালু হয়ে যাবে বলেই জানানো হয়েছে তাদের তরফে।