জনগণের আস্থায় একতরফা জয় : নুরুল ইসলাম নাহিদ

জনগণের আস্থায় একতরফা জয় : নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা আছে বলে তারা একতরফা ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছে। আমরা এ আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া হবে।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঢাকার আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরব স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আগামী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দেশের জনগণের আস্থা রয়েছে। যার নমুনা হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর একতরফা রায় দিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করছে। জনগণের এ আস্থার মূল্য দিয়ে আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাব।

ছেলে-মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করা আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১০ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় সব শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও বৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমতা এসেছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৩ শতাংশ ছাত্রী পড়ছে। আমাদের সন্তানরা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে তুলতে আমরা কাজ শুরু করেছি।

‘শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনুকরণীয়। আজ বিশ্বের কাছে আমরা রোল মডেল’ মন্তব্য করে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আজ যে নতুন বই পাচ্ছে, তা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে। আমাদের এ অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না। আমরা একসময় বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হব। এ সময় তিনি শিক্ষকদের পাঠদানে ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, বই পড়ে সবাইকে পরীক্ষা দিতে হবে। কোথাও নকল করে পাস করার অপচেষ্টা করলে সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। এ জন্য শিক্ষকদের সঠিক দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানান তিনি।

পাঠ্যপুস্তক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী, তিন হাজার শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা, বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা, অভিভাবক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.