জাতীয় পার্টিকে সরকারের সঙ্গ ছাড়তে হবে।
আবারও ভুল পথে হাঁটছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। ফের দলটি একই সঙ্গে সংসদে বিরোধী দল এবং সরকারের অংশীদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দলের এই দ্বৈত অবস্থানের বিরুদ্ধে একজোট কেন্দ্র্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তারা বলছে, দু-চারজন নেতা নিজেদের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে জোর করে মন্ত্রিসভার দিকে টেনে নিচ্ছে।
এ ধরনের সুবিধাবাদী নেতাদের প্রত্যাখ্যানের ডাক দেন তারা। দলের ক্ষতি হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না, জানান বিক্ষুব্ধরা। তারা বলেন, জাতীয় পার্টিকে সরকারের সঙ্গ ছাড়তেই হবে। অন্যথায় নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়। বুধবার দলের যৌথসভায় দফায় দফায় মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তারা স্লোগান দেন ‘সরকার ছাড়ো দল করো’।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের সময়ও ছিলাম, সরকারেও থাকব। সেটাই আমরা চূড়ান্ত করেছি।’ বৃহস্পতিবার দলের সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া দলের অন্য সংসদ সদস্যরা শপথ নেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টিকে একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে নেয়া হলে সংসদ কার্যকর হবে না। দলটির এমপিরা নিজেদের স্বার্থেই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে না।
এতবড় সংসদে কার্যকর বিরোধী দল না থাকলে তা কোনোভাবেই প্রাণবন্ত হবে না। জাতীয় পার্টিকে মন্ত্রিসভায় রাখা হলে সরকারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। জনগণের কাছে বার্তা যাবে সরকার কার্যকর ও শক্তিশালী বিরোধী দল চায় না। কাজেই সরকারের উচিত হবে জাতীয় পার্টিকে মন্ত্রিসভায় না নিয়ে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দেয়া।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও প্রত্যাশা সংসদে জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক। যেখানে তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তাদের মতে, একই সঙ্গে বিরোধী দলে ও সরকারের অংশীদার হয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করা যায় না।
বিরোধী দল সরকারের অংশ হতে পারে না। এবার যদি তারা সরকারের অংশ হয় তবে আগামী দিনে জাতীয় পার্টির আরও আসন কমবে। একপর্যায়ে জাতীয় পার্টির অস্তিত্বও বিলীন হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করেন।
দশম জাতীয় সংসদে ৩৪টি আসন পেয়ে জাতীয় পার্টি একাধারে প্রধান বিরোধী দলের আসেন বসে। পাশাপাশি সরকারেরও অংশীদার হয়। এবারের নির্বাচনে আসন কমে ২২টিতে দাঁড়িয়েছে। দলের গুটিকয়েক নেতা চান অতীতের মতো নতুন সংসদেও একই সঙ্গে বিরোধী দল ও সরকারের অংশীদার হতে।
দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এটা মানতে নারাজ। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, জাতীয় পার্টিকে আর গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে দেখতে চাই না। যদি কোনো নেতা দলের দ্বৈত অবস্থানের পক্ষে সায় দেন তবে তাকেও প্রত্যাখ্যান করা হবে।
ইতিহাস টেনে নেতাকর্মীরা বলেন, গত ৫ বছর দলের যারা মন্ত্রী ছিলেন, তারা শুধু নিজের উন্নতি করেছেন। তাদের দিয়ে দলের কোনো উপকার হয়নি। উল্টো ক্ষতি হয়েছে। তারা মন্ত্রী না হলে সংসদের ভেতরে-বাইরে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করলে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। এতে ভোটের মাঠে লাভবান হতো দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ধাঁচের গণতন্ত্র আমাদের মডেল। সেখানে বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জে নাস্তানাবুদ হয় সরকারি দল। তিনি বলেন, ভারতের লোকসভাতেও এবার বিরোধী দলে তেমন নেতা নেই। তারপরও নানা ইস্যুতে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে তারা। বিরোধী দল না থাকলে সংসদ প্রাণবন্ত হওয়া সম্ভব নয়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি কার্যকর বিরোধী দল সংসদে থাকা প্রয়োজন। জাতীয় পার্টি এই ভূমিকায় থাকতে পারে। কিন্তু তারা পারবে কিনা, নাকি আগের মতোই একই পথে হাঁটবে তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দল মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয় এতে জাতীয় পার্টিই দল হিসেবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা সরকারের শরিক না হয়ে কেবলমাত্র বিরোধী দলে থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করলে দল হিসেবে লাভবান হতো, সংসদও অর্থবহ এবং কার্যকর হতো।’
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে থাকব, না হয় সরকারি দলে থাকব। অর্ধেক বিরোধী দল, অর্ধেক সরকারি দল- এই আধাআধিতে জাতীয় পার্টিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণও আর জাতীয় পার্টিকে আস্থায় নেবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলের একটি সুবিধাভোগী চক্র অতীতে নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে জাতীয় পার্টির ক্ষতি করেছেন। এই চক্র এবারও নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে দলের পুরোপুরি কবর রচনা করতে চাইছেন।’ এসএম ফয়সল চিশতী বলেন, ‘অতীত থেকে শিক্ষা না নিলে জাতীয় পার্টি দল হিসেবে হারিয়ে যাবে। তাই এখনও সময় আছে নেতা-কর্মীদের মতামতের মূল্য দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২২ আসনে জয়লাভ করে। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাদে বাকি ২১ সংসদ সদস্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনের শপথকক্ষে শপথ নেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথের পর দুপুরে সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে বৈঠকে বসে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল। কে তাদের সংসদীয় দলের নেতা হবেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থাকবে, নাকি গতবারের মতো এবারও সরকারে যোগ দেবে- এসব বিষয় উঠে আসে এই বৈঠকে। এ সময় সংসদীয় দলের নেতা ঠিক করতে না পারলেও সরকারের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংসদে আমাদের পার্টির নেতা কে হবেন সেটা দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হবে। সে মিটিংটা কবে হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা পরে জানিয়ে দেব।’ জিএম কাদের আরও বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের সময়ও ছিলাম, সরকারেও থাকব। সেটাই আমরা চূড়ান্ত করেছি।’
বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলেন, ‘পার্টি চেয়ারম্যান এখনও শপথ নেননি। তিনি শপথ নেয়ার পর সংসদীয় দলের বৈঠকে এসব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে দলের ভেতরে একাধিক মত রয়েছে। এরশাদ, রওশন এমনকি জিএম কাদের- এই তিনজনের যে কেউ জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা হতে পারেন। এক্ষেত্রে জিএম কাদেরের পাল্লাই ভারি। এতে পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদেরও সায় আছে।’ ওই নেতা জানান, ‘সরকারে থাকার পক্ষেও আছেন দু’চারজন নেতা। দলের বাকি সবাই সরকারে না থেকে কার্যকর বিরোধী দলে থাকার পক্ষেও। এদিনের বৈঠকেও অনেকেই এমন মতামত দিয়েছেন।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমরা মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। তাই অধিকাংশ এমপিই সরকারের সঙ্গে থাকতে চায়। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত।’ তাহলে কি সংসদে বিরোধী দল থাকবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনগণই তো বিরোধী দল চায়নি। জনগণই উন্নয়নের স্বার্থে বড় ধরনের বিরোধী দল চায়নি। জনগণই মহাজোটকে ২৮৮ আসনে ভোট দিয়েছে।’
জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘সভায় আমাদের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আমরা ২০০৮, ২০১৪ এবং এবারও মহাজোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সুতরাং আমরা মহাজোটের সঙ্গেই আছি। আগামী দিনেও আমরা মহজোটের সঙ্গে থাকব।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না থাকায় আমরা সরকার ও বিরোধী দলে ছিলাম। একসঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলে থাকাটা প্রধানমন্ত্রীর নতুন ফরমেট ছিল। দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা সেভাবেই ছিলাম।’ রাঙ্গা বলেন, ‘মহাজোটের আসন সংখ্যা হচ্ছে ২৮৮টি। দেশের জনগণ চায় না যে সংসদে বড় ধরনের কোনো বিরোধী দল থাকুক। জনগণ সরকারের ওপর সন্তুষ্ট। সে কারণেই তারা মহাজোটকে ভোট দিয়েছে। মহাজোটই আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে।’
জাতীয় পার্টি কি তাহলে সরকারে থাকছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে। মহাজোটের মহানেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, তিনি আমাদের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে আমাদের সিদ্ধান্ত। তবে সরকারে বা বিরোধী দলে থাকতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের সংসদ সদস্যরা তাদের এলাকা ও দেশের উন্নয়নে মহাজোটের সঙ্গে সরকারেই থাকতে আগ্রহী।’
দলের নেতাদের মতে, দ্বৈত অবস্থানে থাকা নিয়ে গত পাঁচ বছর জাতীয় পার্টির ভেতরে বাইরে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ ছিল। বিষয়টি জনগণ ভালো চোখে দেখে না দাবি করে নানান সময় এ নিয়ে কথা বলেছেন দলের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা ও দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদসহ অনেকেই। এরশাদ ও রওশন নানান সময় সরকার থেকে বেরিয়ে আসারও ঘোষণা দেন। যদিও শেষপর্যন্ত তারা বের হয়ে আসতে পারেননি, কিন্তু মনের ভেতরে ক্ষোভ পুষেই পার করেছেন পুরো পাঁচ বছর। তাদের মতে, এতে জাতীয় পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। দল হিসেবেও জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনেও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা বলেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদ নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের অংশীদারিত্ব নিলে তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর ভূমিকা দেখতে চান। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দ্বৈত অবস্থান তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। নেতাকর্মীরা মনে করেন, দলের দু-চারজন নেতা মন্ত্রী হওয়ার জন্য ব্যক্তিস্বার্থে দলের বড় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়ার ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে বিরোধী দল হতে না পারলে জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় দলের এ করুণ পরিণতি দেখতে চান না। তারা বলেন, দেশব্যাপী জাতীয় পার্টির গণভিত্তি আছে, মানুষ দলটিকে যে ভালোবাসে, এটা ফের প্রমাণিত হয়েছে। এবারও নেতারা অতীতের মতো ভুল পথে হাঁটলে জাতীয় পার্টিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কোনো দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যের সংখ্যা কার্যকর বিরোধী দল হওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখে না। অল্পসংখ্যক সদস্যও গঠনমূলক ভূমিকার মাধ্যমে জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও এমন নজির আছে। জাতীয় পার্টিও চাইলে কার্যকর বিরোধী দলে পরিণত হতে পারে। সরকারে থাকলে আর তা হবে না। মানুষ তাদের আস্থায়ও নেবে না।’