৬শ’ কোটি কিমি. দূরে নাসার মহাকাশযান!

মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসার একটি মহাকাশযান ‘নিউ হরাইজন’। মহাকাশযানটি সৌরজগতের নবম গ্রহ প্লুটো থেকে দেড়শ’ কোটি কিলোমিটার দূরে হিমশীতল কুইপার বেল্টের সদস্য আল্টিমা থুলির কাছে সফলভাবে পৌঁছেছে।

বর্ষবরণের রাতে সাড়ে ৬শ’ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে পাঠানো এ যানের বেতার সংকেত স্পেনের মাদ্রিদের একটি বড় এন্টেনায় ধরা পড়ে। বিবিসির খবর।

এ ঘটনার মাধ্যমে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এ যান সৌরজগতের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দূরতম স্থানের কোনো একটি বস্তুর কাছে পৌঁছাল।

কোটি কোটি মাইলের এ যাত্রাপথে নিউ হরাইজন কয়েক গিগাবাইট ছবি তোলার পাশাপাশি অন্যান্য পর্যবেক্ষণ হাজির করে বিজ্ঞানীদের ঝুলিকেও সমৃদ্ধ করেছে।

২০০৬ সালে পাঠানো তুলনামূলক দ্রুতগতির এ মহাকাশ যানের আল্টিমা থুলিতে পৌঁছাতে সময় লাগল প্রায় ১৩ বছর। এর আগে ২০১৫ সালে এটি প্লুটোকে অতিক্রমের সময় অসংখ্য ছবি ও পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছিল।

নাসার এ যানটির সংকেত পৃথিবীতে আসতে ছয় ৬ ঘণ্টা ৮ মিনিট সময় লেগেছে। প্রথম সংকেতে এটি কেবল নিজের অবস্থানের খবর নিশ্চিত করলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মাধ্যমে নিউ হরাইজন যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে সচল করে ছবি তুলেছে ও তার স্মৃতিশক্তি পূর্ণ হয়ে গেছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার পরের দিকে যানটি বেশ কিছু ছবিও পাঠায়। বিজ্ঞানীরা জানান, দূরত্ব এবং তথ্য পাঠানোর গতি সেকেন্ডে মাত্রা এক কিলোবিট হওয়ায় নিউ হরাইজনের পাঠানো সম্পূর্ণ ছবি পেতে বেশ সময় লাগে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পাঠানো এ যানটির কাছে যত ছবি আছে, সব পেতে পেতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর লেগে যেতে পারে, জানিয়েছেন তারা। নাসা জানিয়েছে, আল্টিমা থুলির সর্বোচ্চ রেজুলেশনের একটি ছবি ফেব্রুয়ারির আগে পাওয়া যাবে না।

যদিও তাতে গবেষণা আটকে থাকবে না বলে জানাচ্ছেন মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার গবেষণাগারের প্রধান গবেষক অ্যালান স্টার্ন।

নাসার এ মিশনের পরিচালনা ব্যবস্থাপক অ্যালিস বোমেন বলছেন, ‘আমরা একটি স্বাস্থ্যবান মহাকাশযান পেয়েছি। যার মাধ্যমে আমরা সৌরজগতের দূরতম স্থানে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’ নিউ হরাইজন ২০৩০ সাল পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.