ফের যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে ইন্ডিগো-র বিমান

ফের যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে ইন্ডিগো-র বিমান।

ঠিক ৬ জানুয়ারি মাঝ আকাশে জোরালো শব্দ করে বিগড়ে যায় ইন্ডিগো-র বিমানের একটি ইঞ্জিন। জানা যায়, এ৩২০ এয়ারবাস নিও ব্যবহার করছে ইন্ডিগো। আবার সেই নিও-তেই বিপত্তি। এবার গো-এয়ার বিমান। বৃহস্পতিবার মুম্বই-দিল্লিগামী নিও G8 319 গো-এয়ার বিমানটি মাঝ আকাশে খারাপ হয়ে যায়। বিমানের একটি ইঞ্জিন হঠাৎ কাঁপতে শুরু করে। ধোঁয়া বের হতে থাকায় ছড়ায় আতঙ্ক। অবশেষে, পাইলটের তৎপরতায় মুম্বইয়ে বিমনাটিকে ফিরিয়ে আনা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকল হওয়া গো-এয়ার এয়ারবাসটি ছিল এ-৩১৯ নিও বিমানের। ৬ জানুয়ারি বিকল হওয়া ইন্ডিগো এয়ারবাসটিও ছিল এ-৩২০ নিও-র। শুধু গো-এয়ার বা ইন্ডিগো নয়, ৭ জানুয়ারি মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমনাটির থেকে তেল লিক হতে শুরু করে সেটিও ছিল এ-৩২০ নিও-র। চলতি মাসেই পর পর তিনটি নিও বিমানের বড়সড় ত্রুটি ধরা পড়ল, সেই মাঝ আকাশেই। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক।

বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটায় নিও – (নিউ ইঞ্জিন অপশন) প্রস্তুতকারক মার্কিন সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনিকে এর আগেও অনেকবার প্রশ্নের মুখ পড়তে হয়েছে। শুধু তাই নয়, দিতে হয়েছে আর্থিক ক্ষতিপূরণও। কিন্তু, তারপরেও ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে। মূলত এয়ারবাস সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ-নিও ৩১৯,৩২০,৩২১ তৈরি করে ওই মার্কিন সংস্থাটি। ইন্ডিগো, গো-এয়ার,এয়ার ইন্ডিয়ায় অনেক দিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে এয়ারবাস এ-নিও ৩১৯-৩২০।

তবে,২০১৮ সাল থেকেই সেই নিও বিমানগুলিতেই যান্ত্রিক গোলোযোগ ধরা পড়ছে। গত সেপ্টেম্বরেও বেঙ্গালুরু থেকে ওড়ার পর বিগড়ে যায় গো-এয়ারের দুটি এ-৩২০ নিও বিমান। বিমানবন্দরে ফিরে এসে ফের বিমানের ইঞ্জিন বদলাতে হয়। সবমিলিয়ে নিও বিমান নিয়ে বেশ সংশয়ের মুখে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক।

বৃহস্পতিবার গো-এয়ার বিমানটিতে ছিলেন মোট ১৬০ যাত্রী। গোটা ঘটনায় বিরক্ত তাঁরা। এঁদের মধ্যে অনেকেই আগে মাঝ আকাশে বিমান বিকল হওয়ার ঘটনা দেখেছেন। তাঁরাই গোটা ঘটনা সোশ্যাল সাইটে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশ্ন করেন, এই ধরণের হয়রানির থেকে মুক্তি কবে পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার মুম্বই বিমানবন্দরে ফিরে আসা গো-এয়ার বিমানটির ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হচ্ছে। ঘটনার পরই যাত্রীদের অন্য বিমানে পাঠানো হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.