রামপালে এবার বিমানবন্দর

indexnnnnewজোবায়ের আহম্মেদ অভি: বিতর্কের মুখে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণপ্রকল্প গ্রহণের পর এবার একটি বিমানবন্দরও তৈরির প্রকল্প শুরু হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ৪১.৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের পর কাজ বন্ধ করা হয়। ১৯ বছর পর সেই প্রকল্পটি আবার হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় রামপাল বিমানবন্দর নির্মাণপ্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের থাকবে ১৭৯৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ৫৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রামপালে খানজাহান আলী বিমানবন্দর প্রকল্প, ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিপাল ফাইওভার নির্মাণপ্রকল্প, ৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী-ওলামাবাজার চরদরবেশপুর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ কিলোমিটারে ছোট ফেনী নদীর ওপর ৪৭৮ দশমিক ১৭ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণপ্রকল্প, ৪৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি জেলা পাবলিক লাইব্রেরির উন্নয়ন প্রকল্প, ৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নবায়ন, সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম দ্বিতীয়পর্যায় প্রকল্প, ২৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, ১৪৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে টিকা উৎপাদন প্রযুক্তি আধুনিকায়ন ও গবেষণাগার সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং ৭৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণপ্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে বৃহত্তর খুলনায় ব্যবসাবাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। ২০১৮ সালের জুন নাগাদ এ নির্মাণকাজ শেষ হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, বাগেরহাটে এখন মংলাবন্দর, ইপিজেড, চিংড়ি শিল্প ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে ব্যবসাবাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। ফলে দরকার হয়ে পড়বে দ্রুত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের। বিমানবন্দর হলে সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজারকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প প্রসারিত হবে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুত ত্রাণকাজও বিমানবন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, সাত লাখ ২০ হাজার ১৭৩ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, সাত হাজার মিটার রানওয়ে ও চার হাজার মিটার ট্যাক্সিওয়ে এবং ১৮ হাজার ৫৬৪ বর্গমিটার আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.