দক্ষ প্রবাসীই হতে পারে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
বিদেশে কর্মসংস্থানের ইতিবৃত্ত ‘জনশক্তি রফতানি’ দেশের তৈরি পোশাক রফতানি খাতের পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি প্রবাসী বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে পরিশ্রম করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তা দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখছে। আমরা শ্রদ্ধাভরে তাদের এ অবদানকে স্মরণ করতে চাই এবং তাদের কৃতজ্ঞতার নাগপাশে বাঁধতে চাই।
১৯৬০ সাল বা তার আগে থেকে কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা ও স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মানুষ যুক্তরাজ্যে গমন শুরু করে। পরে ১৯৭০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের জন্য জনশক্তি রফতানি শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় ২০০০ সাল নাগাদ জনশক্তি রফতানি আরও গতি পায় এবং এর বাণিজ্যিকীকরণ হয়। সে সময় বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, ইরাক, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশের নির্মাণ খাত ও শিল্পকারখানায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয় বলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ দক্ষ, অল্প দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি সেসব দেশে কর্মসংস্থান খুঁজে পায়। পরবর্তীকালে কুয়েত, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে জনশক্তি পাঠানো কমে যায়; কিন্তু লেবানন, ওমান ও সিঙ্গাপুরে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় ২০০৫ সালের দিকে আবারও এসব দেশে নতুন করে অদক্ষ জনশক্তি পাঠানো শুরু হয়।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে নারী জনশক্তি রফতানি ছিল যৎসামান্য। কিন্তু ২০১৪-পরবর্তী সময়ে নারী জনশক্তি রফতানির হার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। লেবানন ও জর্ডানে প্রধানত এ জনশক্তি রফতানি হয়। তাদের বেশিরভাগই গৃহস্থালি কাজে সহায়তার জন্য ও অল্প কিছু সংখ্যক তৈরি পোশাক খাত ও অন্যান্য খাতে সম্পৃৃক্ত হয়। এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ১৬০টির বেশি দেশে প্রায় এক কোটির বেশি দক্ষ-অদক্ষ বাংলাদেশি পাড়ি জমিয়েছে। তারা সেখানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে টাকা আয় করে। আর খেয়ে না খেয়ে সঞ্চয় করে দেশে পাঠিয়েছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। এভাবে প্রতিদিন আমাদের প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিনিময়ে সরকারিভাবে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আয়োজন করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। দরকার আরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। সর্বাগ্রে দরকার তাদের প্রতি দেওয়া সহমর্মিতা ও সহযোগিতার দৃষ্টি। প্রিয় পরিবার-পরিজন ও চেনা পৃথিবী ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে অচেনা জায়গায় বিরূপ পরিবেশে প্রবাসীরা কাজ করে। নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ বির্সজন দিয়ে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এর মাধ্যমে তাদের পরিবার তথা আমাদের দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থানের উন্নয়ন হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমাজ উপকৃত হচ্ছে। প্রবাসীদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সরকারি অফিসের পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত আমাদের দূতাবাসগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা ও আন্তরিক সহযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দূতাবাসগুলো যথাযথ গাইডলাইন প্রদান করলে তারা আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও বিদেশে দেশের সুনাম বহুগুণ বৃদ্ধি করতে পারে।
রফতানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহযোগিতা করতে সরকার যেমন বিভিন্ন সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান করেছে, তেমনি প্রবাসীদের আয় বৃদ্ধি করতেও দরকার বিভিন্নমুখী সহযোগিতা ও প্রণোদনা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুনজর প্রয়োজন।
প্রবাসীদের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা
লাখো কোটি প্রবাসীর ঘাম ও রক্ত পানি করা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা (রেমিট্যান্স) আমাদের অর্থনীতির এক বিরাট চালিকাশক্তি ও অমূল্য সম্পদ। এটি আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত/উৎস। রেমিট্যান্স সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রবাসীদের প্রতিটি কাজ ও পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ, নির্মম ও হৃদয়বিদারক। কীভাবে? আসুন জেনে নিই:
যে টাকা খরচ করে মানুষ বিদেশে যায়, তার মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে বাবা-মা, বড় ভাইবোন বা নিজের শেষ সম্বল বিক্রি করে কষ্টে জোগাড় করা টাকা। কেউ কেউ আবার উচ্চসুদে কর্জ নিয়ে সে টাকায় বিদেশ যায়। কিন্তু পরে সময়মতো ঋণ ফেরত দিতে না পেরে তার পরিবার ঋণদাতা স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক নিগৃহীত হয়। এ ঋণ শোধ করতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের মূল্যবান জায়গাজমি ও ভিটেবাড়িও হারাতে হয়।
প্রবাসীদের বিদেশ যাওয়ার পথও ঝুঁকিপূর্ণ। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, তাদের সবাই বিমানের টিকিট কেটে আরামে বিদেশে গিয়ে সরাসরি কর্মস্থলে যোগ দেয়। কাউকে কাউকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী-সমুদ্র-পাহাড়-জঙ্গল পার হয়ে সীমান্তরক্ষীর গুলি এড়িয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে অনুপ্রবেশ করতে হয়। কেউ কেউ হিম শীতল ঠাণ্ডায় নদী-সমুদ্র সাঁতরে পার হয়। ভাগ্য সহায়ক না হলে কেউ কেউ এ সময় পানিতে ডুবে মারা যায়। আবার কেউ কেউ তীব্র গরমে পণ্যবোঝাই কন্টেইনারে বা গাড়িতে লুকিয়ে সীমান্ত পার হয়। এ প্রক্রিয়ায় দুর্ভাগ্যবান কারও কারও ক্ষেত্রে দম বন্ধ হয়ে কন্টেইনারেই মৃত্যুবরণ করার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনাও ঘটে।
প্রবাসীরা কর্মক্ষেত্রে অমানুষিক পরিশ্রম করে, কিন্তু সে অনুপাতে ন্যায্য পারিশ্রমিক পায় না। ভোর থেকে রাত অবধি তারা কায়িক পরিশ্রম করে, কিন্তু কখনও কখনও মালিকপক্ষ বা দালালের লোভাতুর চোখ তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতা-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে।
বিদেশে প্রবাসীরা যে পরিবেশে বাস করে তার চিত্র আরও করুণ। একেকটি ছোট ছোট রুমে গাদাগাদি করে তারা বসবাস করে। সবখানে নেই পর্যাপ্ত বাথরুম, খাবার পানি এবং তাপ ও আলো-বাতাসের স্বাভাবিক প্রবাহ। ফলে তারা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে ভোগে। তাদের কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবাও অপ্রতুল। সব সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে তবুও তারা বিদেশে কাজ করে শুধু টাকা রোজগারের আশায়, পরিবারের উন্নত জীবনযাপনের প্রত্যাশায়।
প্রবাসীরা আইনসিদ্ধ/বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠিয়ে নিজেদের পরিচিতজন, আত্মীয়স্বজন, এলাকার পরিচিত ব্যক্তি ও অবৈধ দালালচক্রের মাধ্যমে দেশে প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়। এর ফলে কখনও কখনও তাদের কষ্টার্জিত টাকার আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশ খোয়া যায়। এ প্রক্রিয়ায় দেশে টাকা পাঠানোর জন্য তাদের অতিরিক্ত খরচও বহন করতে হয়।
জনশক্তির অধিকাংশই অদক্ষ বা কম দক্ষ হওয়ায় বেশিরভাগই তাদের কাজের গুরুত্ব ও কর্মস্থল সম্পর্কে সজাগ থাকতে পারে না। ফলে তাদের কায়িক পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত হতে হয়। এতে তাদের ঘণ্টাপ্রতি পারিশ্রমিকের হারও তুলনামূলকভাবে কম। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত আয়কে বাংলাদেশি টাকার সঙ্গে তুলনা করে সন্তুষ্টি লাভ করলেও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের আনুপাতিক হারের সঙ্গে তুলনা করলে তা খুবই নগণ্য আয়। দক্ষতার অভাবে তারা কর্মক্ষেত্রে নিজস্ব যোগ্যতা প্রদর্শনের সুযোগও কম পায়, গুরুত্বপূর্ণ পদে সুযোগ কম পায় এবং সুযোগ ও প্রণোদনাও কম পায়।
করণীয়
১. প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মানুষকে প্রেরণ
মানুষকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে অথবা দক্ষ জনশক্তি নির্বাচন করে বিদেশে পাঠালে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ও দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তাদের কর্ম-উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিলে দেশ আরও বেশি উপকৃত হবে, দেশের ইমেজও বৃদ্ধি পাবে।
২. যে দেশে যাবে সে দেশের ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সম্যক জ্ঞানদান করা
বিদেশভ্রমণে বা বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা জানা বা বুঝতে পারা একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে বিদেশ গমনের আগেই জনশক্তি যে দেশে প্রেরণ করা হবে সেদেশের ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে সম্যক ধারণা প্রদান করলে তা বেশি কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে। এতে প্রবাসীরা ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারবে। পাশাপাশি দ্রুততর সময়েই নিজের মেধা ও শ্রম কাজে লাগিয়ে তার পরিবারের জন্য বেশি অবদান রাখার পাশাপাশি হয়ে উঠবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি ও দেশ গড়ার কারিগরও।
৩. প্রবাসীরা যে দেশে আছে সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশি কমিউনিটির ইতিবাচক ভূমিকা ও সহযোগিতা
প্রবাসীরা যে দেশে কাজ করে সে দেশস্থ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রবাসীদের অবস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সহজ করতে সহায়তা করবে। ভাষাজ্ঞান ভালো থাকলে প্রবাসীদের ওয়ার্কপারমিট ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত দূর হবে এবং তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজকর্ম/ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি হবে। প্রবাসীদের যে কোনো প্রয়োজনে স্থানীয় বাংলাদেশি দূতাবাস ও বাংলাদেশি কমিউনিটির পরামর্শ ও ত্বরিত পদক্ষেপও বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
৪. সচেতনতার সঙ্গে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে বিদেশে না যাওয়ার ও অভিবাসন আইন মান্য করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে
অবৈধ দালালের মাধ্যমে বিদেশ গমন পরিহার করে সরকারি ব্যবস্থাপনা/বৈধ রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভিসা, টিকিট ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে। দালালের কথায় ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ পথে বিদেশ গমন ও চাকরি গ্রহণের প্রবণতা পরিহার করতে হবে। নিজস্ব জ্ঞানবুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রবাসে কর্মসংস্থান সুরক্ষিত করে দেশ থেকে যেন আরও জনশক্তি রফতানি করা যায় তার পথ প্রশস্ত করতে হবে, পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বিদেশ গমনের আগে তাদের যে কোনো প্রয়োজনে দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস/মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং বিদেশে কর্মরত থাকাবস্থায় নিজ নিজ দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এতে তাদের প্রবাস জীবন ও সেখানকার যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিরাপদ, সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ ও সহায়ক হবে। প্রবাসীদের নিজেদের আরও সচেতন হতে হবে। নিজের সমৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সুনামের জন্য সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। কানকথা ও গুজব পরিহার করে বৈধ পথে বিদেশ গমন করে পরিশ্রম, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রদর্শনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
৫. বৈধ রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ গমন নিশ্চিত করা ও রিক্রুটিং এজেন্টের আন্তরিক সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রয়োজন
মানুষকে বিদেশ পাঠানোর সময় আমাদের রিক্রুটিং এজেন্টদেরও সচেতন থাকতে হবে। মোটা অঙ্কের
মুনাফার লোভে দেশের মানুষকে মিথ্যা তথ্য ও আশ্বাস দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে সেখানে ঝুঁকি/বিপদে না ফেলে তাদের সঠিক পথে বিদেশে পাঠাতে হবে। প্রতিটি রিক্রুটিং এজেন্ট সচেতন ও আন্তরিক সেবা প্রদানে ইচ্ছুক হলে তারাই দেশের জনশক্তিকে দেশে ও বিদেশে সঠিক গাইডলাইন/পরামর্শ দিতে পারবে। তারা মানুষকে ব্যক্তিগত যোগ্যতার আলোকে বিদেশে সঠিক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে, তাদের পরিবার উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
৬. সরকার/সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্টদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তদারকি ও আইন আপডেট করা
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্টদের কার্যক্রম ও জনশক্তি পাঠানোর বিষয়টি নিয়মিতভাবে তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে বা অভিযোগ গৃহীত হলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন সংশোধন/আপডেটের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে গুজব-ভুয়া তথ্য সম্পর্কে সজাগ থাকতে প্রবাসী/জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।