যাত্রীদের নাক-কান দিয়ে রক্ত, শ্বাসকষ্ট, অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্লেনের ১৮৫ জন যাত্রী।
টেক অফের আর বাকি মিনিট খানেক। আচমকাই ছটফট করতে শুরু করলেন যাত্রীরা। কারও কারও শুরু হল শ্বাসকষ্ট। অজ্ঞানও হয়ে পড়লেন অনেকে। বৃহস্পতিবার কানাডার কুইবেক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার আগেই এয়ারবাস ৩২১ বিমানের ১০ জন যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
১৮৫ জন যাত্রী ও ছ’জন কেবিন ক্রু নিয়ে বিমানটি কানাডা থেকে যাওয়ার কথা ছিল ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে। ওড়ার কিছুক্ষণ আগেই যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড কোলাহল। কানে ও নাকে প্রচণ্ড চাপ পড়তে শুরু করে। নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু অনেকের। বমি করতে শুরু করেছিলেন অনেক যাত্রী।
বিমানের ভিতর থেকে যাত্রীদের বার করে আনেন দমকলকর্মীরা। যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া হয়। সকলকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় বিমানবন্দরেই। তার মধ্যে দশ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, কোনও ভাবে বিমানের ভিতরে এয়ার প্রেশার বা বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এর জন্য কোনও কেবিন ক্রুয়ের গাফিলতি রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যাত্রীদের একজনের কথায়, ‘‘বিমান ছাড়াই আগেই আমাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। চোখ জ্বালা করছিল, মাথা যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছিল সকলের। অনেকেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন।’’
এয়ারলাইন সূত্রে খবর, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে বিমানের ভিতরে ভেন্টিলেশনের সমস্যার জন্যই অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের জন্য বিকল্প উড়ানের বন্দোবস্তও করে সংস্থা। এয়ার ট্রানসাট ৭৮২ বিমানে চাপিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।