‘আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দুয়ার সব সময় খোলা’
আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার সব সময় খোলা আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য কখনও বন্ধ ছিল না। শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। কেউ কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, তার কাছে যদি নিয়ম মাফিকভাবে আলোচনা করতে চান, আলাপ করতে চান, আমাদের নেত্রীর দুয়ার খোলা আছে, আমি এটা বলেছি।
গণভবনে চা চক্রের নামে তামাশা হয়েছে বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে নেতিবাচক রাজনীতির গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে। তাদের এখন খাদে পড়তে আর বেশি বাকি নেই। এ অবস্থায় তারা বেসামাল হয়ে, বেপরোয়া হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে। এখানে কোনো যুক্তি নেই, এখানে কোনো বাস্তবতা নেই। কারণ এ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে এ মুহূর্তে কোনো প্রশ্ন নেই। বিএনপি বলছে জাতীয় নির্বাচনে যেমন ভোট ডাকাতি হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে এটা তো তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা তাদের স্বভাবসুলভ বক্তব্য, নালিশের রাজনীতি তাদের নতুন নয়।
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অনেক জায়গায় এমপি তাদের প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে রকম অভিযোগ আসতে পারে। এখন এককভাবে নিয়ম ভঙ্গ করে যদি কোনো নাম বা তালিকা আসে সেজন্য তো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। কেউ কোনো অনিয়ম করল কিনা সেটা দেখার জন্য আমাদের এ বোর্ড। তৃণমূলের নামগুলো সঠিকভাবে আসছে কিনা সেটা দেখার জন্যই তো আমাদের এ মনোনয়ন বোর্ড। সঠিকভাবে নাম না এলে, সেখানে সার্ভে রিপোর্টও আছে। সব মিলিয়ে আমরা মনোনয়ন দেব। শুধু তৃণমূলের রিপোর্টের ওপর আমরা ভিত্তি করব না। কারণ তৃণমূলের রিপোর্টে যদি কোনোরকম ম্যানিপুলেশন হয় সে অবস্থায় সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাজে দেবে।
কিন্তু শর্ত দেয়া হয়েছিল যাদের নাম তৃণমূল থেকে আসবে শুধু তাদের কাছে ফরম বিক্রি করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ফরম বিক্রির ব্যাপারে আমরা যদি মনে করি কাউকে দেয়া উচিত, ফরম বিক্রি করা দরকার, অনেক জায়গা অনেকেরই নাম নেই, অনেকে হয়তো বা অভিযোগ করছেন আমার নামটি অন্যায়ভাবে পাঠানো হয়নি। এ ধরনের অবস্থায় ফরম বিক্রি করতে তো কোনো অসুবিধা নেই। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে মনোনয়ন কাকে দেবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও দফতর সম্পাদক ড. আবদুল সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১৮৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি : আওয়ামী লীগের দফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রথম দিন সোমবার ১৮৭টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের শুভেচ্ছা মূল্য ২০ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রথম দিনে মোট জমা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আজ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে দলটি। দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৫ হাজার টাকা। দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের শেষ দিন বৃহস্পতিবার।