দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি শহর ড্রেসডেন। ১৯৪৫ সালের ১৩-১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ইঙ্গ-মার্কিন পক্ষের শক্তি এই শহরকে ধ্বংসের জন্য ফেলেছিল ৭৭৩টির বেশি বোমা। সেই বোমা হামলায় কেড়ে নিয়েছিল ২৫ হাজারেরও বেশি তাজা প্রাণ।
পুরো জার্মানিজুড়ে রক্ষণশীল ও কট্টরপন্থীদের জন্যেও এই শহরের আছে বেশ নামডাক। আর এই শহরেই রোববার বিকালে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৮টি মাতৃভাষার সম্মিলনে প্রথমবারের মতো পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের।
এমন মহতি অনুষ্ঠানটির যৌথ আয়োজক ড্রেসডেনের বাংলাদেশি কমিউনিটি, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ও ড্রেসডেনের ইন্টিগ্রেশন ও আউসল্যান্ডরবাইরাট।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আলোচনা, ৫২ এর ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের উদ্দেশ্যে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ সময় আয়োজকদের মধ্যে ড. শাহিনুর রহমান ও ড. মাহমুদ হোসেইন বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস ও বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে ড্রেসডেনের গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এই আয়োজন।
এই সময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. জিনাহসহ আরও অনেকে।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ, আমান, নিরব, শান্ত, আনিস ও মিসেস রহমানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন সৌরভ সরকার, অমৃতা মান্না ঘোষ, জাফরিন রহমান, সানিউজ্জামান শুভ, রামায়নাসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য শিল্পীরা।