বিমানে গুলির চিহ্নের রহস্য বের করতে সিসি টিভি ফুটেজ ও ব্ল্যাক বক্সের সহায়তা নেবে

বিমানে গুলির চিহ্নের রহস্য বের করতে সিসি টিভি ফুটেজ ও ব্ল্যাক বক্সের সহায়তা নেবে

বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় আটক ও পরে নিহত হওয়া পলাশ আহমদের হাতে কোনো আগ্রেয়াস্ত্র ছিল না। মামলার বিবরণ অনুযায়ী তাঁর হাতে ছিল একটি খেলনা পিস্তল। বিমানের ভেতর আলামত সংগ্রহ করতে যাওয়া সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, ভেতরে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি গুলি ককপিটের দরজা ভেদ করে ইলেকট্রিক প্যানেলে লেগেছে। আরেকটি বিজনেস ক্লাসের পার্টিশন ভেদ করে কেবিনেটে লেগেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এসব গুলি এল কী করে?

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেছেন, তদন্ত শেষ না করে এসব প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারবেন না। এসব জানতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ ও ব্ল্যাক বক্সের থাকা তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি পলাশের সাবেক স্ত্রী সামসুন নাহার সিমলা ও পলাশের বাবা–মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

গত রোববারের বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় সোমবার রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় গুলিতে নিহত পলাশ আহমদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে। তারা মামলার আলামত হিসেবে খেলনা পিস্তল, বোমাসদৃশ বস্তু, বিমান, নিহত পলাশের জামাকাপড়সহ ১৫টি বস্তু জব্দ করে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের প্রধান উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গতকাল দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে বলেন, সেদিন বিমানটির ভেতর কী হয়েছিল তা জানার জন্য ব্ল্যাক বাক্স, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে পলাশ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা জানার জানার চেষ্টা চলছে।

কী বলার ছিল পলাশের

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া জানান, বেশির ভাগ যাত্রী জানিয়েছেন পলাশ নিজ স্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কী কথা তাঁর বলার ছিল। আর বিমানে উঠে বোমাসদৃশ বস্তু ও খেলনা পিস্তল নিয়ে কেন এসব করলেন, তা জানার জন্য পলাশের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা সিমলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বর্তমানে মুম্বাইয়ে অবস্থান করা চিত্রনায়িকা সিমলার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অল্প দিনের পরিচয়ে পলাশের সঙ্গে তাঁর ২০১৮ সালের মার্চে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের নভেম্বরে ডিভোর্স দেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে সরকার যদি তাঁকে দেশে ডাকে, অবশ্যই আসবেন।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.