ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে স্ত্রী-সন্তান হারালেন স্লোভাকিয়ার এমপি।
ইথিওপিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৩ দেশের ১৫৭ জন আরোহী সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১৪৯ যাত্রী ও ৮ ক্রু ছিলেন। এটি উড্ডয়নের ৬ মিনিট পরেই বিধ্বস্ত হয়। এ বিমানটিতে স্লোভাকিয়ার এমপি ও দেশটির স্লোভাক ন্যাশনাল পার্টির ভাইচ প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এবং দুই সন্তানসহ দেশটির চারজন নাগরিক ছিলেন।
তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। এ ছাড়া ইথিওপিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ নিহতদের দেশের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এতে কেনিয়ার ৩২, কানাডার ১৮, ইথিওপিয়ার ৯, চীনের ৮, ইতালির ৮, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৮, বিট্রিশ ৭, ফ্রান্স ৭, মিসর ৬, নেদারল্যান্ডের ৫, জার্মানির ৫, স্লোভাকিয়ার ৪, ভারতীয় ৪, রাশিয়ার ৩, সুইডেনের ৩, অস্ট্রেলিয়ার ৩, মরক্কোর ২, ইসরাইলের ২, পোল্যান্ড ২, বেলজিয়ামের ১, উগান্ডার ১, ইয়েমেনের ১, সুদানের ১, টোগোর ১, মোজাম্বিকের ১, নরওয়ের ১, রুয়ান্ডার ১, সৌদি আরবের ১, সুদানের ১, সোমালিয়ার ১, সার্বিয়ার ১, মোজাব্বিকের ১, আয়ারল্যান্ডের ১, ইন্দোনেশিয়ার ১, ডিজিবোতি ১ ও বেলজিয়ামের ১ জন রয়েছে।
রোববার দুপুরে দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়া যাওয়ার পথে ইথিওপিয়া এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ‘বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ১৪৯ যাত্রী ও আট ক্রু নিয়ে আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে যাচ্ছিল। বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কিছু সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এটি আদ্দিস আবাবা থেকে ৩৭ মাইল দূরে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাৎক্ষণিক এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিমান দুর্ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের স্বজন ও আপনজন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।