১০ বছরে মাছ শূন্য হতে পারে হাকালুকি

hakaসিলেটের হাওরপাড়ের চারপাশে দেশীয় প্রাকৃতিক মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলে মাছের বংশবিস্তার ও বেড়ে ওঠার পরিবেশ পর্যায়ক্রমে বিনষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, ফেঞ্চুগঞ্জসহ আশপাশ অঞ্চলের খাল-বিল, হাওর-বাওড় ও হাকালুকি মাছ শূন্য হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে প্রায় বিলুপ্তির পথে খয়রা লালসন্দা, পাবদা, সরপুঁটি, তিতপুঁটি, ডানাকুনো, মলা, শিং, মাগুর মাছসহ প্রায় ১৬ প্রজাতির ছোট মাছ। অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে পুঁটি, টেংরা, ভেদা, কৈ, মহাশৈল, বাইম মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সিলেটের সাত উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব প্রজাতির মাছ এখন দেখা যায় না বললেই চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, ”বাজারগুলোতে প্রাকৃতিক মাছের আমদানি একেবারে কমে গেলেও যা কিছু আমদানি হয় তাও চলে যায় বিত্তশালীদের ঘরে। সাধারণ ক্রেতাদের ভাগ্যে জুটে না। দেশি এসব ছোট্ট মাছের জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।”

এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশ না পেয়ে মৎস্য ভাণ্ডারখ্যাত হাকালুকি মাছ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা একেএম শফিকুজ্জামান জানান, বিদেশি আগ্রাসী বা রাক্ষুসী মাছের চাষ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় পরিস্থিতিতে দেশীয় প্রাকৃতিক মাছ বিলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় আমিষের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ আসে দেশীয় প্রজাতির মাছ থেকে। এসব মাছ বিলুপ্ত হলে, এ অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.