কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ এ মাসেই শুরু হচ্ছে

imagesদীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ। ইতোমধ্যে বাজেট বরাদ্দ, কাজের ধরণ, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আর প্রথম ধাপের এই উন্নয়ন কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪৯ কোটি ৬৪.২১ লাখ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়নের প্রথম পর্যায়ের কাছ শুরু হবে যে কোনো মুহ‚র্তে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অতিথি নির্ধারণ করা হচ্ছে। কাজ শুরু করার অন্য প্রক্রিয়াও শেষ।
সূত্রটি আরো জানায়, এপিপির আওতায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ে রানওয়ে বর্ধিতকরণ ও প্রসস্তকরণের কাজ হবে। এর পাশাপাশি রানওয়ের পিসিএনও বাড়ানো হবে। স্থাপিত হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম। এ ছাড়া বিমানবন্দরের চারপাশের ভঙ্গুর দেয়ালও মেরামত করা হবে। কাজের ধরণ নির্ধারণ ও বরাদ্দ ঠিক হওয়ার পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গেছে। ওয়ার্ক অর্ডারও হস্তান্তর করা হবে চলতি সপ্তাহে। এরপরের সপ্তাহে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধিদল এসে বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শুরু করবে।
তবে ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতার ছোট ছোট কাজগুলো শুরু হয়েছে। সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশে নির্মিত হচ্ছে দেয়াল। টুকটাক কাজ চললেও মূল কাজ শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতার পরই।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রানওয়ে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯০০০ ফুট পর্যন্ত করা হবে। পাশাপাশি রানওয়ের প্রস্থ বৃদ্ধি করে ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করা হবে। এর পাশাপাশি রানওয়ের পিসিএনও বাড়ানো হবে। স্থাপিত হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাসান জহির জানান, রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৮৮৫ ফুট ও প্রস্থ ৫০ ফুট বাড়ানো হবে। রানওয়ের পিসিএনও বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম স্থাপিত হবে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। মূল কাজ এ মাসে শুরু হবে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কবে নাগাদ শুরু হবে তা তিনি জানেন না। কারণ উন্নয়ন কাজটি তদারকি করছেন সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বেসমারিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. পারভেজ জানান, এপিপির আওতায় কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন করার কাজ শুরু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এ মাসেই এ কাজ শুরু হবে। সিভিল এভিয়েশন এর তদারকি করবে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তাদের অর্থের বরাদ্দও দিয় দেয়া হয়েছে।
সিভিল এভিয়েশনের অপারেশন ও প্লানিং মেম্বার এয়ার ক্যাডেট ম. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজ শুরু হতে আর কয়েকদিন সময় লাগবে। কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে এ সপ্তাহের যে কোনো কর্ম দিবসে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হবে। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য অতিথিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল ম. সানাউল হক জানান, প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজ হবে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ধাপে ধাপে এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম জানান, ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ পর্যটন বর্ষকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রথম ধাপের উন্নয়ন কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.