এয়ার এশিয়ার বিমানে বোমাতঙ্ক, জরুরি অবতরণ।
বোমাতঙ্কের ফলে জরুরি অবতরণ করা হল এয়ার এশিয়ার একটি বিমান। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমান খালি করে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এখনও পর্যন্ত বিমান থেকে কোনও বোমা উদ্ধার করা যায়নি।
রবিবার বিকেলে ভারতের বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয় কলকাতা থেকে বাগডোগরাগামী একটি বিমানে বোমা আছে। ফোনটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তা জানায় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ততক্ষণে এয়ার এশিয়ার ওই বিমানটি উড়ান শুরু করে দিয়েছিল। পাইলটকে জানিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরেই এয়ার এশিয়ার ওই বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমানের প্রায় ১৮০ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামানো হয়। বিমান খালি করে শুরু হয় তল্লাশি। নিরাপত্তারক্ষী, বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তল্লাশি এখনও চলছে।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তল্লাশিতে কিছু পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা এখন সুরক্ষিত রয়েছেন বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। তবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে কে বা কারা ফোনটি করেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ফোনটি কোথা থেকে এসেছিল, জানা যায়নি তাও। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে গত বছর মার্চ মাস নাগাদ কলকাতাগামী একটি বিমানে বোমাতঙ্ক হয়। সেবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ছড়িয়েছিল বোমাতঙ্ক। দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি চলে। দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ওই বিমানেই ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী। সংসদের গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজধানীতেই ছিলেন তাঁরা। অধিবেশন সেরে সেদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তাঁদের কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। সেই বিমানেই বোমাতঙ্কের খবর ছড়ায়।