নাজিব রাজাকমালয়েশিয়ায় গণকবর পাওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব কবর মানব পাচারের শিকার অভিবাসন-প্রত্যাশীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, আজ সোমবার নিজের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে এই প্রতিক্রিয়া জানান নাজিব। নাজিব লিখেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় গণকবর পাওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা মানব পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ নাজিব আরও বলেন, ‘আমরা দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করব।’
থাইল্যান্ডের পর প্রথমবার মালয়েশিয়াতে ৩০টি গণকবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে একটি গণকবর থেকে প্রায় ১০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে পাওয়া ওই গণকবরগুলোতে শত শত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসন-প্রত্যাশীর দেহাবশেষ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে মানব পাচারকারীদের ১৭টি বন্দিশিবিরও পাওয়া গেছে।
মালয়েশিয়ায় এই গণকবরের সন্ধান পাওয়ার আগে ১ মে পাশের দেশ থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে এমন একটি গণকবর পাওয়া যায়। সেখানে মেলে পাচারকারীদের বন্দিশিবির। গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ জন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার দেহাবশেষ ও কঙ্কাল।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহাদ জাহিদ হামিদের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় পারলিস প্রদেশের শহর ও গ্রাম এলাকায় এসব গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এগুলো মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া অভিবাসীদেরই কি না, তা কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখছেন। এ পর্যন্ত কতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এ নিয়ে মন্ত্রী কিছু বলেননি।
তবে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে আজ সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক তান সেরি খালিদ আবু বকর এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের ব্যাখ্যা তুলে ধরতে পারেন।
খবর অনুযায়ী, ওই গণকবরগুলোতে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানো শত শত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার পত্রিকা ইউটুজান মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলেছে, পুলিশ গতকাল পর্যন্ত ৩০টি গণকবর খুঁজে পায়। একটি থেকে গত শুক্রবার উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০০ জনের মরদেহ।