জেলে নেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর আবারও হাসপাতালে

images_82084ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গতকাল বুধবার বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে নেওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আবারও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিলং থেকে মুঠোফোনে সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বিকেলে শিলং নগরের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম  মুঠোফোনে বলেন, দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে জেলা দায়রা জজের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে দুই সপ্তাহের জন্য আইনি হেফাজতে (কারাগারে) পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই সপ্তাহ পর শুনানির জন্য তাঁকে আবার আদালতে হাজির করতে বলা হয়।
কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় রাতে শিলং জেল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদকে নেগ্রিমস (নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস) হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদ। তিনি বলেন, বুকের ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সালাহ উদ্দিন আহমদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে নেগ্রিমসে পাঠায়।
এর আগের দিন দুপুরে নেগ্রিমসের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে থানা হেফাজতে নিয়েছিল।
সালাহ উদ্দিন আহমদের রিমান্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ তাঁকে রিমান্ডে নিতে আদালতে কোনো আবেদন করেনি।
কেন পুলিশ বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেনি, সে ব্যাপারে তিনি অবশ্য কিছু জানাননি।
এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমদের জামিন চেয়ে তাঁর স্ত্রীর আবেদনের শুনানি আগামীকাল শুক্রবার স্থানীয় আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। ২২ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এই আবেদন জানান। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি জামিনের বিরোধিতা করেন। তবে বিচারক মামলার নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
১১ মে ভোরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাঁর প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাঁকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। এরপর ২০ মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদকে নেগ্রিমসে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ গত মঙ্গলবার বিএনপির এ নেতাকে শিলং সদর থানা হেফাজতে নিয়ে গিয়েছিল।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.