প্লেনে চা–কফি পান উচিত নয় কেন

প্লেনে চা–কফি পান উচিত নয় কেন।

আমরা অনেক হয়তো জীবনে দু-এক বার বিমানে চড়ে অন্য দেশে বা দেশের মধ্যে অন্য জায়গাতে গেছি। যেহেতু আমরা প্রতিনিয়ত বিমানে চলাচল করি না, তাই হয়তো অনেক নিয়ম আমরা জানি না। আমরা মানুষ ও মানুষ স্বভাবত ‘না জানার’ অজুহাতকে সহজে মেনে নিতে পারে না। যেমন, জীবনে প্রথমে একটি শপিং মলে গেলেন কিন্তু চলন্ত সিঁড়িতে বসে ওপরে উঠলেন। কী হবে ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখুন। শপিং মলের কর্মচারীরা আপনাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখবে। কারণ তারা আপনার কাছে স্বাভাবিক আচরণ প্রত্যাশা করছে। শপিং মলে যে আপনি প্রথম এসেছেন সেটা তারা বুঝতে রাজি নয়। তেমনি বিমানে চলাচলের সময় আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

যেমন, বিমানে ওঠার পর কখনো আপনি বিমান বালাকে আপনার লাগেজ সংরক্ষণের জন্য সহায়তা করতে বলবেন না। জামিলা হার্ডউইক নামের এক বিমানবালা ইনসাইড এডিশনকে বলেন, ‘বোর্ডিংয়ের দরজা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বেতন পাই না। যদি ব্যাগটি ওভারহেড বাক্সে রাখার সময় আমরা আঘাত পাই তবে আমরা চাকরিতে আঘাত হিসেবে এটি লিখতে পারি না বা ক্ষতিপূরণ পাই না।’ কিন্তু সচরাচর আমরা দেখি বিমানের ভেতর প্রবেশের পরই যাত্রীরা বিমানবালাকে তাদের লাগেজ বা ব্যাগটি ওভারহেড বাক্সে রাখার জন্য সহায়তা চায়।

বাঙালিদের আবার চা পান করার অভ্যাস। অনেকে আবার কফি খেতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু জানা উচিত, বিমানে চা বা কফি পান উচিত নয়।

এর কারণ শুনলে অবাক হওয়ারই
কথা। বিমানবালা হার্ডউইক বলেন,

‘কফি বা চায়ের পাত্র সব সময় পরিষ্কার করা হয় না। তাই ওই পাত্র প্রায়ই নোংরা থাকে।’

বিমানবালা হার্ডউইক বিমানের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি বিমানের কম্বল এবং বালিশ সম্পর্কেও কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করেন। তিনি বলেন, ‘বিমানে আপনার

নিজের ব্যবহারের জন্য বালিশ ও কম্বল নিয়ে আসুন। বিমানে ব্যবহার করার

জন্য আমরা আপনাদের যে বালিশ বা কম্বল দিই সেগুলো কতটা ধোয়া হয়েছে বা আদৌ ধোয়া হয়েছে কিনা, তা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। বালিশগুলোর অনেক সময় শুধু কাভার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, বিমানের সিটের সামনে যে ট্রে আছে, সেটি কখন ধোয়া বা পরিষ্কার করা হয়েছে, তার কোনো হদিস নেই।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.