কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ্ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ্ এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার আমিরের প্রাসাদ ‘দেওয়ান আমিরি’-তে অনুষ্ঠিত প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস কুয়েতে অবস্থানরত হাজার হাজার বাংলাদেশিকে সেখানে থাকার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আমিরকে আরো বেশি বাংলাদেশি কর্মীদের কাজের সুযোগ দেয়ার জন্য কুয়েতের দরজা উন্মুক্ত রাখতে অনুরোধ জানান।
প্রফেসর ইউনূস কুয়েত সরকারের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে দেশটিতে অবস্থান করছেন। কুয়েত সফরের জন্য প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমির আল-সাবাহ্ দরিদ্র নারীদের উন্নয়নে ড. ইউনূসের অসামান্য কাজের প্রশংসা করেন। আমির বলেন, আমি পৃথিবীতে দারিদ্র্য নিয়ে, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের দারিদ্র্য নিয়ে চিন্তিত। আশাকরি পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য দূর হবে। তিনি দরিদ্রদের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মহলের উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, দরিদ্রদের জন্য যথাসাধ্য কাজ করার চেষ্টা করছেন এবং কুয়েতে দরিদ্রদের জন্য আরো কাজ করতে ড. ইউনূসের পরামর্শ চান।
এ সময় ড. ইউনূস ‘কুয়েত ফান্ড’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রদত্ত উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। আমির বাংলাদেশে সফরে আসার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
প্রফেসর ইউনূস আমিরের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. ইউসেফ আল-ইব্রাহীমকে কুয়েতের যুবসমাজকে সামাজিক ব্যবসা ও উদ্যোক্তার ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেন।
এদিন প্রফেসর ইউনূস কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-হামাদ আল-সাবাহ্-এর সাথেও সাক্ষাত্ করেন। ড. ইউনূস কুয়েতে বাংলাদেশি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য ভিসার কড়াকড়ি বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ড. ইউনূস কুয়েতের জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট আলী মারজুক আল-ঘানিম-এর সাথেও বৈঠকে মিলিত হন, তিনি ইউনূসকে জাতীয় পরিষদের একটি প্রতিরূপ উপহার দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ড. ইউনূস কুয়েত চেম্বার অব কমার্সের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন। গতকাল বুধবার ইউনূস সেন্টারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।