সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর নামেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর নামেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনো নামেই আন্তর্জাতিক। লন্ডনসহ চারটি দেশ থেকে এই বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট নামলেও এখান থেকে সরাসরি কোনো দেশে ফ্লাইট চলাচল করে না। প্রতিবছর যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ-সুবিধা সে অনুযায়ী বাড়েনি। এ অবস্থায় বিমানবন্দরটিকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ২০১৭ সালে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও যথাসময়ে এটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে এই বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু জনবল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন সে অনুপাতে বাড়েনি। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০টি ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। এর মধ্যে লন্ডন, আবুধাবি, দুবাই, জেদ্দা থেকে সরাসরি ফ্লাইট নামছে এ বিমানবন্দরে। তবে এখান থেকে ওই সব দেশে যেতে হলে সিলেট থেকে ঢাকা হয়ে যেতে হয় যাত্রীদের।

বর্তমানে এই বিমানবন্দরে একটি টার্মিনাল ভবন, একটি কার্গো ভবন আছে। এ ছাড়া দুটি ট্যাক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দুটি বড় প্লেন পার্কিং সুবিধাসহ শেড, দুটি বোর্ডিং ব্রিজ এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। তবে এগুলো একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য যথেষ্ট নয়।

বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করার জন্য ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪৫২ কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। পরে ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রকল্প সংশোধন করে ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করে। প্রকল্পের অধীনে রানওয়ে শক্তিশালীকরণসহ একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপন, প্রশাসন ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং ধীরগতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাগিদ দিচ্ছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে বিমান প্রতিমন্ত্রী আগামী জুন থেকে এই বিমানবন্দর দিয়ে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। ওসমানী বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমেদ জানান, আগামী এপ্রিলের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রানওয়ের কাজের জন্য এখন রাত ৮টার পর থেকে সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট উঠানামা করছে না। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এখান থেকেই সুপরিসর বিমান লন্ডনের মতো দূর গন্তব্যে সরাসরি যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে। বড় বিমান অবতরণের মতো রানওয়ে এবং নেভিগেশন সিস্টেম এখানে রয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.