মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এআরপি) পৌঁছে দিতে ওয়েস্ট মালয়েশিয়ায় চলছে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার কাজ। দেশটির সারওয়াকে অফিসে মোবাইল ক্যাম্পে এ কার্যক্রম চলছে। ২০ মার্চ রোববার দুপুর ১২টায় এমআরপির মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম।
ক্যাম্পিং উদ্বোধনের পর সারওয়াকে মোবাইল ক্যাম্পে আবেদন জমা দিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন বলেন, সারওয়াক থেকে একজন শ্রমিক দূতাবাসে যেতেই শুধু খরচ হতো ১ থেকে দেড় হাজার রিঙ্গিত। শ্রমিকদের এ খরচ বিবেচনা করে এখন কেবল ব্যাংক ড্রাফট ১১৬ রিঙ্গিতের বিনিময়ে সারওয়াকেই এমআরপির আবেদন তারা জমা দিতে পারছেন। আবেদন জমা দিতে যারা ব্যর্থ হবেন তাদের জন্য পরবর্তীতে আবার তারিখ ঘোষণা দিয়ে এমআরপির আবেদন জমা নেয়া হবে।
সারওয়াকের প্রবাসীরা দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সহজে এমআরপি পেতে এ উদ্যোগের জন্য তারা হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, তারা প্রবাসীদের হাতে সহজে এমআরপি পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করছেন। আবেদনের জন্য আগতদের একদিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন জমা নেয়া এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সেজন্য এ ক্যাম্পিং।
দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন জানান, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সকল প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে এমআরপি দেয়ার চেষ্টা করছে দূতাবাস।