চলতি বছরে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে ভারপ্রাপ্ত ধর্ম সচিব মো. আব্দুল জলিল অতিরিক্ত সচিব মো. শহিদুজ্জামান, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার, মহাসচিব শেখ মো. আব্দুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। এবার সরকারিভাবে হজে যেতে চাইলে ৩০ হাজার ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে চাইলে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। মন্ত্রী মতিউর রহমান বলেন, ২৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেয়া যাবে প্রাক-নিবন্ধন ফি এবং হজে যাওয়ার অর্থ। প্রাক-নিবন্ধনের পর ব্যাংক থেকে একটি সনদ দেয়া হবে। মোবাইল ফেনে এসএমএস করে প্রাক-নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী এবারও এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বাকি ৯১ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করতে পারবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিল বলেন, প্রাক-নিবন্ধন করার পর কেউ হজে যেতে না চাইলে দুই হাজার টাকা ফি বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত নিতে পারবেন। আজ (রোববার)নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন হলেও হজ এজেন্সির সঙ্গে কিছু চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় ২৩ মার্চ পুরোদমে প্রাক-নিবন্ধন শুরু হবে এবং এটা একটানা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। মন্ত্রিসভা গত ১১ জানুয়ারি যে হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, এতে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানিসহ প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মৌলিক খরচ হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। পরে বাড়ি ভাড়া-খাওয়া যোগ করে প্যাকেজ ঠিক করা হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ হতে পারে।
আরও খবর