কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন-বিষয়ক মন্ত্রী কারিনা গোল্ড বলেছেন, ‘নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের মডেলে পরিণত হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের এ অগ্রগতি সকলের দৃষ্টি কেড়েছে।’
সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে বৈঠককালে কানাডিয়ান মন্ত্রী কারিনা গোল্ড কথা বলেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন। তিনি বিশেষ করে বাল্য বিবাহরোধে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপগুলোও কানাডীয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা স্মরণ করেন। এছাড়া, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন কানাডার এই মন্ত্রী।
জাতিসংঘে অনুষ্ঠানরত ৬০তম সিএসডব্লিউ অধিবেশনে ৯ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। সে অধিবেশনে কানাডার মন্ত্রীও অংশ নিচ্ছেন।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে সোমবার অপরাহ্নে এক সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। এতে “ইনিশিয়েটিভ টু অ্যান্ড চাইল্ড মেরিজ ইন বাংলাদেশ” বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাল্য বিবাহ রোধের নীতি ও পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এ ইভেন্টে কানাডীয় মন্ত্রী কারিনা গোল্ড, ইউনিসেফের ডিরেক্টর টেড চাইবান এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জলি নুর হকও বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২৩ মার্চ) জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিএসডব্লিউ অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
এদিকে, গত রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের এক সভাতে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী চুমকি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ।
প্রতিমন্ত্রী ছাড়া এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন হোস্ট সংগঠনের সেক্রেটারি ফরিদা ইয়াসমীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
সভার প্রারম্ভে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা, একাত্তর-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২- এর মহান ভাষা আন্দোলনসহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে সভায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।