রিজার্ভের টাকা উদ্ধারে টাস্কফোর্স হচ্ছে

Bank591459270406ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া টাকা ফেরত পেতে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টাকা চুরি হওয়ার সঙ্গে দেশীয় কোন লোক বা গোষ্ঠি জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে সরকার ড. ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেনসিক বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজনও তদন্ত করছে।

এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযেগিতায় চুরি হওয়া টাকা উদ্ধারের বিষয়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

বিশেষ করে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) ও ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন রিভিউ গ্রুপের (আইসিআরজি) সহযোগিতা চাওয়া হবে।

সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের লক্ষ্যে বিশেষায়িত টাস্কফোর্সের বিষয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্থ উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করছে সরকার। বিশেষ করে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং চ্যানেলে যদি বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ থেকে থাকে তবে তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এ দৃষ্টিকোন থেকেই টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে।

টাস্কফোর্সের দায়িত্বে থাকতে পারেন অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব। এছাড়া টাস্কফোর্সে সদস্য হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসসহ সংশ্লিষ্ট আরো দু’টি অফিসের প্রতিনিধিরা থাকতে পারে।

সূত্র জানায়, রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার অর্থ চুরির পর তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বাংলাদেশ সরকার আশঙ্কা করছে। তাই এ টাস্কফোর্স বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার পর বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা নির্ণয়ের চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের কোন কোন দেশে এ অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে তাও চিহ্নিত করবে টাস্কফোর্স। পাশাপাশি অর্থ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সামগ্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

শুধু তাই নয়, বিশ্বের কোন ব্যাংকিং চ্যানেলে এ অর্থ আটকা থাকলে তা উদ্ধারের উপায়ও খুজে বের করবে শক্তিশালী এ টাস্কফোর্স। এ ছাড়া যেহেতু, ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) আছে তাই চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনে থাকলে তা উদ্ধারের ব্যবস্থা করবে এ টাস্কফোর্স।

এক্ষেত্রে টাস্কফোর্স অ্যান্টিমানিলন্ডারিং বিভিন্ন কর্তপক্ষের সঙ্গে এক যোগে কাজ করবে। তবে এ কাজে টাস্কফোর্সকে কোন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.