লেবাননের রাজধানী বৈরুতের সমূদ্র পাড়ে অবস্থিত পাঁচতারা হোটেল ফিনেসিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের রিসেপশন।
বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে লেবাননে এই প্রথম বারের মতো এ ধরনের একটি ভেন্যুতে অত্যন্ত সাড়ম্বরে আয়োজিত হলো ৪৬তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। এ ধরনের আয়োজন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশর ভাবমূর্তির উজ্জলতা আরো বাড়িয়ে দিবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে এই অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- লেবাননের সংসদ সদস্য এবং লেবাননে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি কাছেম হাশেম। আরো উপস্থিত ছিলেন- লেবাননের ডিন অব ডিপ্লোম্যাটিক কোর গ্রেব্রিয়েল কাসিয়া, লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চীফ অব প্রটোকল, লেবাননের সকল রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
এতে লেবাননে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত,রাশিয়া,বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতসহ প্রায় ৪৬টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, লেবাননে মোট ৫৪টি দেশের দূতাবাস রয়েছে। রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার এবং তার সহধর্মীনি সাদিয়া ফেরদৌস সরকার অনুষ্ঠান স্থলের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে আগত অতিথিবৃন্দদের স্বাগত জানান। সাথে দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অনুষ্ঠান চলাকালে বড় পর্দায় বাংলাদেশের প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হতে থাকে। উপস্থিতির সংখ্যা ছিল প্রায় দুই শতাধিক। অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি প্রায় ২০ প্রকারের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে প্রথমে লেবাননের জাতীয় সংগীত এবং পরে বাংলাদেশর জাতীয় সংগীত বাঁজানো হয়।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ভাষণে বলেন,বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সর্বভৌম দেশ। ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রিতিভোজ শেষে রাত প্রায় সাড়ে দশটার দিকে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
এর আগে গত ২৬শে মার্চ ২০১৬ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ও দিবসের তাৎপর্যের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও লেবানন প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার এতে সমাপনী বক্তব¨ দেন।