৩ মাসের ফ্লাইট পরিচালনা চার্জ মওকুফ চায় বিমান সংস্থাগুলো

বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমনের কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই যাত্রী শূন্যতা ও লকডাউনে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি বিমান পরিচালনা কোম্পানিগুলো। করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করেন বাংলাদেশ, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ ৩৩ দেশের সিভিল এভিয়েশন এবং তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে গৃহীত ব্যবস্থাদি বিশেষ করে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে এর প্রভাব এবং বিমান চলাচল ব্যবস্থায় যাবতীয় নীতিমালা, বিধিবিধানসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে প্রত্যেক রাষ্ট্রের সিভিল এভিয়েশন প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত সিভিল এভিয়েশনের আঞ্চলিক অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত করা হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসে মহামারীর কারণে ধস নেমেছে এয়ারলাইনস ব্যবসায়। অধিকাংশ দেশ বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে। ফলে হাজার হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলো। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেও তিন মাস ধরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডিং চার্জ, আকাশ ব্যবহারসহ কয়েকটি খাতে যে চার্জ দিতে হয় তা মওকুফ দাবি করেছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে এই ভিডিও কনফারেন্সের নেতৃত্ব দেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি আশ্বস্ত করেছেন বিমান কোম্পানি ও সংস্থাসমূহের এই দাবি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, যাত্রী পরিবহন বন্ধ থানায় তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সরকারিভাবে বিভিন্ন চার্জ মওকুফ করলেও লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এ ছাড়া এ মুহূর্তে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিমানের কার্গো ফ্লাইট চালু রয়েছে। মালামাল পরিবহনের এই ফ্লাইট পরিচালনাকালে যাতে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মী, পাইলট, ক্রু, প্রকৌশলী, যারা করোনা ভাইরাস থেকে কীভাবে মুক্ত থাকতে পারে বা বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে পদক্ষেপ জানতে চান আন্তর্জাতিক কোম্পানি বা নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি কন্টিজেন্সি প্ল্যান ও নিরাপদ আকাশ চলাচল নিশ্চিতকরণে যাবতীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।

এ ব্যাপারে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, তারা যে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে, সেটি আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করব। এ ছাড়া বিমানবন্দরে করোনা প্রতিরোধে আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.