বিমান বাহিনীতে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসার চার সপ্তাহের কোর্স উদ্বোধন
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের উপর চার সপ্তাহ ব্যাপী ‘FIRST AID LIVE SAVING COURSE-2020’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিমান বাহিনীর প্রধান প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে এর উদ্বোধন করেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় যেকোন ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বদা সহায়তা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি মেডিক্যাল টিম সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে যারা যে কোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল টিমের সাথে সমন্বিতভাবে সেবা প্রদান করবে। এই টিমের সদস্যদেরকে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে এই কোর্স চালু করা হয়।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সদস্যরা শুধুমাত্র বিমান বাহিনীর সদস্যদের সেবা প্রদানের জন্য নয়, প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল টিমের সাথে সমন্বিতভাবে সেবা প্রদান করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আশা পোষণ করেন। তিনি সকলকে দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের প্রতি সচেষ্ট থাকতে আহবান জানান। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনী সর্বদা যে কোন প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত আছে বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।
করোনা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল স্থাপন: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিমান বাহিনীর প্রত্যেকটি ঘাঁটিতে ‘করোনা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল’ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রভোস্ট পেশার বিমানসেনারা ঢাকার হাজী ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান করছেন। মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিমান বাহিনী তাদের নিজস্ব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, বিমান বাহিনী সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিন ও চিকিৎসা বহরগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তদোপরি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রেসহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিম্ন আয়ের জনগণকে উপযুক্ত প্যাকেটের মাধ্যমে চাল, ডাল, পেয়াজ, সাবান, ফলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হচ্ছে।
