এই কিছুক্ষন আগে আমার খুব কাছের বন্ধু ডাঃ আব্দুল মাবুদ চৌধুরী আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। ডাঃ আব্দুল মাবুদ চৌধুরী সবার কাছে পরিচিত ছিল ফয়সাল নামে। প্রায় দু সপ্তাহ করোনা ভাইরাসে ভুগে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ফয়সাল শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করলো ( ইন্নানিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাইহে রাজেউন)।

আমার খুব কাছের বন্ধুদের মাঝে এই প্রথম এক বন্ধু হুট্ করে আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। ব্যাপারটা খানিকটা কল্পনার ও বাইরে। ফয়সাল তো এতো সহজে চলে যাবার মতো নয়।

ভালো ভালো সব পরিকল্পনা থাকতে তার। মেডিক্যাল কলেজে সমাজসেবা সম্পাদক থাকাকালে একটি ‘মেধাবী ছাত্র অনুদান ফান্ড ‘ গঠন করেছিল সে নানা জনের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে। একজন দরিদ্র মেধাবী ছাত্রকে তা প্রদান করা হতো।


এতো ব্যস্ততার মাঝেও প্রেমে পড়বার সুযোগ হয়েছিল ফয়সালের। ফয়সালের যোগ্য প্রেমিকা এবং সহধর্মিনী রানী সব সময়ই ফয়সালের পাশে ছিলো এবং তার মানবিক কাজগুলোতে সাহায্য করেছে। পেশাতে রানী একজন মনোচিকিৎসক এবং ফয়সালের মানবিক গুণাবলীকে সে বরাবরই সামনে এগুতে সাহায্য করেছে। ফয়সাল ছিল একজন অসাধারণ বাবা এবং স্বামী। একমাত্র ছেলে ইন্তিসার আর একমাত্র মেয়ে ওয়ারিশা বরাবরই ফয়সালের চোখের মনি। আমি জানি না কিভাবে আমরা তাদের পিতৃশোক ভাগ করে নেবো।


