বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ বার্নিকাটের

uiy877u9i0o--190x122দেশী-বিদেশীর সমন্বয়ে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সকল পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি রোধ করতে হবে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে দেড়ঘণ্টা বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একযোগে বিভিন্ন কাজ করছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছি আমরা। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি অন্যান্য দেশও নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে আসছে। এটা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নয়, যুক্তরাজ্য ও জাপানেরও রয়েছে। এখন সব পক্ষ একযোগে বসে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নিরাপত্তা ঘাটতি উত্তরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তায় অগ্রগতি হতে পারে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুইটি গ্রুপ কাজ করছে। নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে তারা কাজ করছে। তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিবাচক। তারা একযোগে কাজ করলে নিরাপত্তা ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বহুপক্ষ জড়িত। বিমান মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেমন রয়েছে, আবার বিভিন্ন বিদেশী গোষ্ঠীরও সহায়তা প্রয়োজন। আমরা তো বলেছিই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জাপানও এক্ষেত্রে সহায়তা করতে আগ্রহী। সব পক্ষ একযোগে কাজ করলে বিমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করেছেন। এসব প্রতিনিধি দলে সিনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। এছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে যেসব যৌথ কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে, এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে কোন কোনটির ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক রয়েছে। আবার কোন কোনটি বাস্তবায়নে সমঝোতা স্মারক নেই। এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই ঢাকা সফর করেছেন। এই প্রতিনিধি দলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ফেডারেল এভিয়েশন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা ছিলেন। ঢাকা সফরকালে তারা বিমান নিরাপত্তা ও আইশৃঙ্খলা বিষয়ে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরকালে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি রেডলাইন অ্যাসিউরড সিকিউরিটির সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, বিমান, বাণিজ্য ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিনরা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.