সিলেটে বিশেষ ফ্লাইটের টিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ আটাবের

লন্ডনের বিশেষ ফ্লাইটের টিকেটে দুর্নীতি হচ্ছে অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অব বাংলাদেশের (আটাব) সিলেট অঞ্চল।

শনিবার আটাব সিলেট অফিসে এক সভায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

আটাব সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান মুতাহির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গিয়াস উদ্দিন আমজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন হাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, হাব বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সিলেটের সেক্রেটারি জহিরুল কবির চৌধরী শিরু, শামসুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবুল কাশেম, আবুল বশর ফয়জুল, শাহাব উদ্দিন ও মোহন মিয়া।

সভায় জানানো হয়, বিমানের টিকেটের দুর্নীতি বন্ধ করা না হলে আটাবের পক্ষ থেকে বৃহত্তর কর্মসুচি দেওয়া হবে।

সভায় আরও জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটে আটকা পড়েছেন হাজারো যুক্তরাজ্য প্রবাসী। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তারা এতদিন ফিরতে পারেননি যুক্তরাজ্যে। ২১ জুন থেকে ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট চালু হওয়ার পর প্রবাসীরা ফিরে যেতে ভিড় করছেন বিমান অফিস ও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে। কিন্তু পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় কাঙ্খিত সময়ে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। রিটার্ন টিকেটে আসা যাত্রীরা টিকেট কনফার্ম করতে গেলে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে নভেম্বরের সিডিউল। এদিকে যুক্তরাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল খুলে যাওয়ায় অনেকে সময়মতো ফিরে যাওয়া নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

এমতাবস্থায় আটাব সিলেট অঞ্চলের নেতারা সিলেটে আটকাপড়া প্রবাসীদের জন্য বিমানের বিশেষ ফ্লাইটের দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষ ফ্লাইট দেয়া হলেও টিকেট নিয়ে উঠেছে ‘স্পেশাল’ দুর্নীতির অভিযোগ।

সভায় আটাব সিলেট অঞ্চলের সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবুল অভিযোগ করেন, দুর্নীতিবাজদের যোগসাজশে সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায় টিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিমান অফিস থেকে বিক্রি করা হয় টিকেট। এতে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রিটার্ন টিকেটধারী যেসব যাত্রীদের অক্টোবর-নভেম্বরে সিডিউল দেয়া হয়েছিল, সেসব যাত্রীদের অনেককে ফোনে বিমান অফিসে ডেকে নিয়ে ওই স্পেশাল ফ্লাইটের টিকেট দেয়া হচ্ছে। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আটাব নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ইমেইল করে ট্রাভেলস এজেন্টদের জানানো হয় পরদিন শুক্রবার বেলা ২টায় অনলাইনে ‘বিশেষ’ ফ্লাইটের টিকেট ওপেন করা হবে। কিন্তু সিস্টেম ওপেনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা যায় সব সিট বুকিং হয়ে গেছে।

আটাব নেতাদের অভিযোগ, অনিয়ম রোধে তারা বিশেষ ফ্লাইটের টিকেট বুকিং কনফার্মের জন্য ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ তা না করে সময় দেন ১২ ঘণ্টা। এতে ‘ফেইক বুকিং’ দিয়ে আসন ধরে রাখার সুযোগ পায় অসাধু চক্র।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.