দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটনের যে বিশাল সুযোগ রয়েছে তা তুলে ধরে কাজে লাগানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ট্যুর অপারেটররা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার জানানো হয়, ট্র্যাভটকের সহযোগিতায় কোরিয়া ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (কেটিও) গত মঙ্গলবার ওয়েবিনারটি আয়োজন করে, যেখানে কোরিয়ার সুন্দর এলাকাগুলো যা ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ হতে পারে সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। বাংলাদেশে বাণিজ্যের জন্য কেটিও’র এটি প্রথম কোনো ওয়েবিনার।
কোরিয়া ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের নয়াদিল্লি অফিসের উপ পরিচালক জিউল চোইয়ের সভাপতিত্বে কোরিয়া ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন, নয়াদিল্লি অফিসের বিপণন ব্যবস্থাপক সন্দীপ দত্ত এবং ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য এবং সিভিল এভিয়েশন এবং পর্যটন সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাফিউজ্জামান ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন।
চোই বলেন, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক (২০১৮ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি) আসার কারণে এই সম্ভাবনা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি ভবিষ্যতে ভ্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি, সে কারণেই আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বশেষ পর্যটন তথ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ভ্রমণ শিল্পকে জানানোর জন্য এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারা এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে কোরিয়া অন্যতম এবং সে কারণেই ভ্রমণ শুরু হলে আত্মবিশ্বাসের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য তাদের ক্লায়েন্টদের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
মো. রাফিউজ্জামান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া পর্যটকদের কোনও গন্তব্যে যেতে প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহ করে। দেশটির দীর্ঘ ও আকর্ষণীয় ইতিহাস, দুর্দান্ত সংস্কৃতি, আশ্চর্যজনক খাদ্য, বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ এবং দুর্দান্ত অবকাঠামো রয়েছে।