বিমানের সাথে সমঝোতায় আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে নিলেন পাইলটরা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচলক এবং সংস্থাটির পাইলটদের সংগঠন ‌’বাপার’ সাথে এক বৈঠকের পর আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিমানের পাইলটরা। বাপা এর আগে এক আলটিমেটামে জানিয়েছিল ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যদি তাদের বেতন বৈষম্য নিরসন করা না হয় তাহলে তারা আগামী ১ আগষ্ট থেকে বিমানের সংগে চুক্তির বাইরে আর কোন ফ্লাইট পরিচালনা করবে না। তবে দেশের প্রয়োজনে এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত টিকা এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি তারা নিয়মিতভাবে  পরিবহন করে যাবেন।

জানাগেছে যদি বিমানের সংগে চুক্তির বাইরে পাইলটরা ফ্লাইট পরিচালনা না করেন তাহলে বিমানের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ স্টেশন আবুধাবী, দুবাই, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যায় সংকোচন করতে গিয়ে বিমান তাদের কর্মী ও পাইলটদের বেতন কর্তন করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বিমান ম্যানেজমেন্ট তাদের কর্মীদের বেতন কমানোর আদেশটি প্রত্যাহার  করে নিলেও সব পাইলটদের বেতন কমানো সংক্রান্ত আদেশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করেনি। একারণে পাইলটরা বেতন কমানো সংক্রান্ত আদেশটি বৈষম্য তৈরী হয়েছে মর্মে আলটিমেটামে যান। যদিও এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাইলটদের সংগে  বৈঠক করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়।

বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, অচিরেই পাইলটদের বেতন কর্তনের বিষয়টি সমাধান হবে বলে বিমান এমডি তাদের আশ্বস্থ করেছেন। এই কারণে  এমডি মহোদয়ের সিদ্ধান্তে আশ্বস্থ হয়ে বৈমানিকগণও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষনা করেছেন। বর্তমানে তাদের কোন আলটিমেটাম নেই। তারা এখন সব কিছু পর্যবেক্ষন করছেন।

তিনি আরো বলেণ, গত ১৯ জুলাই, ২০২১ তারিখে বিমান ব্যবস্থাপনার সাথে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট এসোসিয়েশনের (বাপা) একটি সৌহাদ্যপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনান্তে অবশিষ্ট বৈমানিকগণের বেতন কর্তনের বিষয়টি বিমান পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করাসহ বৈমানিকগণ কর্তৃক আগামি ৩১ জুলাই, ২০২১ থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় ।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিমান ম্যানেজমেন্টের সংগে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে  অতি শিগগিরই পাইলটরা তার ফলাফল দেখতে পাবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে বিমানকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বিমানকে এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ঝুকি নিতেও আমরা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই বিমানকে নিয়ে আমাদের অনেক অহংকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বিমানের প্রতি সার্বক্ষনিক নজর রাখছেন। কাজেই এই সংস্থাটির উপর কোন আঘাত আসলে আমাদেরও অনেক কষ্ট লাগে। আমরা চাই পাইলটদের বেতন বৈষম্য দ্রুত নিরসন হবে।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.