বিমানবন্দরে কর্মরতরা দায়িত্বে অবহেলা করলে কঠোর শাস্তি

বিমানবন্দরে কর্মরতরা দায়িত্বে অবহেলা করলে কঠোর শাস্তি। বলেছেন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী । হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরতদের মধ্যে যারাই দায়িত্বে অবহেলা করবে তাদের তালিকা তৈরি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি।
আজ দুপুর ১২.৩০ থেকে দুপুর ২.৪৫ পর্যন্ত ব্যাগেজ এরিয়া, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এরিয়া, আরটি পিসিআর এর জন্য নির্ধারিত এলাকা সহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন কালে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি বিমানবন্দরের আগত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ আছে কিনা তাও জানতে চান।
যাত্রীদের ট্রলির তথ্য প্রদান করার জন্য প্রতিমন্ত্রী ব্যাগেজ এরিয়ার প্রত্যেকটি বেল্টে একজন করে ট্রলিম্যানকে দায়িত্বে রাখার জন্য বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশনা দেন। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কর্মরতদের দ্রুত এবং পেশাদারিত্বের সাথে দ্রুত সেবা প্রদান করার নির্দেশনা প্রদান করে প্রতিমন্ত্রী বলেন যাত্রীদের দ্রুত সেবা প্রদান করতে হবে। কোনোভাবেই সেবা ব্যাহত করা যাবে না বা কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।  যাত্রীসেবার মান নিশ্চিতের জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার লোকজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রানজিট যাত্রীদের কাস্টমস চেকিং এ সময় বেশি লাগায় বিভিন্ন ফ্লাইট ডিলে হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা ডেস্ক এবং কিউ এর ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময়ে কাস্টমসের জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করা হলে প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
যাত্রী হয়রানি রোধে এবং পরীক্ষার ক্রম ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আরটি পিসিআর এর জন্য নির্ধারিত এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিউ কিওস্ক বসানোর জন্য দায়িত্বরতদের নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এলাকায় স্থাপিত দোকান সমূহের খাবারের মান এবং দাম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। যাত্রীদের কোন ভাবে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি সেখানে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের সাবধান করেন।
চেকইন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমানের কর্মকর্তারা যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করেন কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত এয়ারলাইন্সগুলো থেকে তথ্য নেয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।  তিনি বলেন যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে বা দায়িত্বে অবহেলা করে তবে তার বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্টারে না আসলে চাকরি থাকবে না। যাত্রী সেবার সাথে কোন আপস নয়। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অজুহাত গ্রহণ করা হবে না।
পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান প্রমুখ।
আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.