‘উড়োজাহাজ সংঘর্ষের ঘটনায় দোষী সবাই বরখাস্ত’
কর্মকর্তাদের গাফিলতিতেই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। সেই সঙ্গে দোষী সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়। এতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের লেজের হরিজেন্টাল স্ট্যাবিলাইজার ভেঙে গেছে। অপর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ককপিটের একটি অংশ ছিদ্র ও নোজের বড় অংশ (বিমানের নাক) দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
দুটি উড়োজাহাজই বিমানবহরে নতুন। ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০-এর অনভিজ্ঞ টোম্যানকে দিয়ে হ্যাঙ্গার থেকে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ বের করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার এক দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এতদিন পরও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপরই বুধবার এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাঁচজন কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (১৯৭৯) প্রবিধানমালার ৫৫ ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
এই ঘটনায় বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) আলী নাসেরকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং বিমানের চিফ অব সেফটির নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।