সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে নেমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৪ আগস্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৪৮৩টি এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার যাত্রীরা বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ৬৩টি ফ্লাইটে প্রায় ২২ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ২ হাজার ৫শ ৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১৯ হাজার ১শ ২ জন হজযাত্রী রয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছু এজেন্সি মক্কাতে তাদের ভাড়া করা বাড়ির নাম-ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত না দেয়ায় হাজিদের জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে বাসে মক্কায় নির্ধারিত বাড়িতে পাঠাতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জেদ্দা এয়ারপোর্টের দায়িত্বে নিয়োজিত) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে গত ৯ আগষ্ট এক জরুরি সভা ডেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সৌদি আরবের মক্কার কাউন্সেলর (হজ) মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে আসা প্রত্যেক হাজী ও তাদের টিমলিডার/গাইডের কাছে মক্কায় তাদের জন্য ভাড়া করা বাড়ির পূর্ণ ঠিকানা আবশ্যিকভাবে দিতে হবে।
অন্যথায় তাদের মক্কা পাঠানো যাবে না।এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে ফ্লাইট নং, হাজির সংখ্যা, এজেন্সির নাম, বাড়ি/হোটেলের নামসহ নানা তথ্যউপাত্ত অবশ্যই ই-মেইলে পাঠাতে হবে।