আর্থিক স্বচ্ছতায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি

২০০৮ সাল থেকে ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার মূল্যায়ন করতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করলেও ন্যূনতম মানদণ্ডে এখনো পৌঁছাতে পারেনি।

প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের “ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট ২০২২”- এ এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ১৪১টি দেশের আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে।

২০০৮ সাল থেকে ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার মূল্যায়ন করতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ ও জনসম্পৃক্ত কার্যকরী খাতে কতটা ব্যয় করা হচ্ছে- তারই একটি পর্যালোচনা এই প্রতিবেদন। এছাড়া আর্থিক বিবরণী ও বাজেট প্রণয়নে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হচ্ছে কি-না তারও একটি সমালোচনা থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজেট নথি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিমালা অনুযায়ী তৈরি করা হয়। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সম্পদের পরিমাণ ও বিবরণী প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করেছে। এছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের মৌলিক তথ্য সর্বজনীনভাবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছে।

সরকার বছর শেষে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে অর্থবছরের প্রতিবেদন প্রকাশ করে আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বাজেট প্রণয়নে ও আলোচনায় জনসাধারণের মতামত দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারের বাজেট নথিগুলো, রাজস্ব আদায়সহ সরকারের পরিকল্পিত ব্যয় এবং রাজস্ব স্ট্রিমগুলোর একটি যুক্তিসঙ্গত চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশের বাজেটের তথ্য সাধারণত নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও বাজেটের নথিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুসারে প্রস্তুত করা হয়নি।

আর্থিক বিবরণীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হিসাব পর্যালোচনা করেছে, কিন্তু তার প্রতিবেদনে সারগর্ভ ফলাফল ছিল না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.