যুক্তরাজ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অন্যতম রুট হলো ইংলিশ চ্যানেল। এই পথে ছোট নৌকা ঠেকাতে ফ্রান্সকে তিন বছরে প্রায় ৫০ কোটি পাউন্ড দেবে প্রতিবেশী দেশটি। খবর বিবিসি।
গতকাল শুক্রবার প্যারিসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর শীর্ষ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা আসে।
এই অর্থ অতিরিক্ত ৫০০ কর্মকর্তা এবং ফ্রান্সে নতুন ডিটেনশন সেন্টার তৈরিতে খরচ হবে।
ডিটেনশন সেন্টারটি ২০২৬ সালের আগে পুরোপুরি চালু হবে না। বর্তমানে দেশটিতে ২৬টি সেন্টার রয়েছে।
যুক্তরাজ্য এর আগে ৬ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড দেয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছিল। নতুন প্যাকেজটি ২০২৩-২৪ সাল মেয়াদে প্রতিশ্রুতি কমপক্ষে দ্বিগুণ করেছে। অবশ্য নিজেদের পদক্ষেপে তহবিল কতটা বাড়াবে তা জানায়নি ফ্রান্স।
এদিকে ব্রিটেনে বিরোধীরা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। লেবার পার্টির শ্যাডো অ্যাটর্নি জেনারেল এমিলি থর্নবেরি বলছেন, এটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছুই না। ফ্রান্সে আরও অর্থ পাঠানোর আগে ঋষি সুনাককে বলতে হবে, আমাদের আগে দেয়া কয়েক মিলিয়ন অর্থের অর্জন কী ছিল, কেন ছোট নৌকায় পারাপার বাড়ছে।
অবশ্য ছোট নৌকায় পারাপার কমাতে কাজ করা ব্রিটিশ ও ফরাসি দলের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন মাখোঁ।
এলিসি প্যালেসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দলটি গত বছরে ৩০ হাজার নৌকা প্রতিরোধ ও ৫০০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে সুনাক বলেন, এই অর্থ মানুষ নিয়ে ‘জঘন্য ব্যবসার অবসান ঘটাতে’ সাহায্য করবে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, অতিরিক্ত ৫০০ ফরাসি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা পারাপার প্রতিরোধে ড্রোনের মতো ‘উন্নত প্রযুক্তি’ ব্যবহার করবে।
গত বছর ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে সুনাক একটি নতুন অবৈধ অভিবাসন বিল প্রস্তাব করেছেন। এর অধীনে, কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাকে ২৮ দিনের মধ্যে বের করে দেয়া হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দাবি বা ফিরে আসতেও বাধা দেয়া হবে।
কিছু দাতব্য সংস্থা ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বিলের তীব্র সমালোচনা করেছে। এটিë আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।