সংকট পুঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র চলছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার যখন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সংকটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশনের মতো ঘৃণ্য কাজকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অক্ষবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।’

গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘দুরভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কখনও এ দেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি। যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, একসময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় এক বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না।

বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল, প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে? বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপের ফলে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘ াবের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাঙালি জাতির সব সংকটে ও দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংকট মোকাবিলা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যেকোনও পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে কোনও খাদ্য ঘাটতি নেই। এ কথা আজ প্রমাণিত যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর দিয়ে বিশ্বসভায় মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.