ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ, দুর্ভোগে শতাধিক বাংলাদেশি যাত্রী

planebg_169836502ঢাকা: নেপালের কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনো বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশি যাত্রীসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকশো যাত্রী কাঠমাণ্ডুতে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

গত বুধবার (০৪ মার্চ) টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস ৩৩০ উড়োজাহাজ ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। উড়োজাহাজটির পাখা ও লেজ রানওয়ের অর্ধেক পর্যন্ত চলে এসেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক রুটের কোনো ফ্লাইট কাঠমাণ্ডু ছেড়ে যেতে ও অবতরণ করতে পারছে না।

তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়, শুক্রবারের (০৬ মার্চ) মধ্যে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, উড়োজাহাজ যেভাবে রানওয়ের পাশে পড়েছে, এতে রানওয়ের দৈর্ঘ্যের মাত্র ৫ হাজার ফিট ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব নয়।

দুর্ঘটনার পর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের মতো কাঠমাণ্ডুতে চলাচলকারী একমাত্র বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও বন্ধ রয়েছে।

বিমান সূত্রে জানা যায়, ত্রিভুবন বিমানবন্দরের খবর অনুযায়ী তারা শনিবার (০৭ মার্চ) থেকে বিমানের ঢাকা-কাঠমাণ্ডু ফ্লাইট ফের চালুর সূচি ঘোষণা করেছেন।

বিমানের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুতে যাত্রী নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাঠমাণ্ডুতে যে শতাধিক বাংলাদেশি যাত্রী আটকা পড়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনা নিয়েই আমরা বেশি চিন্তিত।

রানওয়ে সচল হয়েছে কি-না তা জানতে বিমানবন্দরের বাইরে এসব যাত্রী ভিড় করছেন। কাঠমাণ্ডুতে থাকা অনেক বাংলাদেশি পর্যটকের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কারণ তারা নেপালের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে ও শপিং করে হাতে থাকা সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন। শেষ মুহূর্তে এসে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এত বড় উড়োজাহাজ সরানোর মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় যাত্রীদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.