রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ১০ জন মারা যান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে, ঢাকা মেডিকেলে মারা যান ৩৪ জন এবং একজন পুলিশ হাসপাতালে মারা গেছেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী আরো জানান, ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবার কণ্ঠনালী পুড়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ছয়তলা ভবনের শেষ পর্যায়ে কোথাও আগুন আছে কিনা ফায়ার সার্ভিস সেটি খোঁজার চেষ্টা করছে। কতজন আহত বা নিহত অথবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি পরে জানানো হবে।
এদিকে জ্বলতে থাকা ভবন থেকে আটকে পড়া ৬৮ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বাবুর্চি দীন ইসলাম (২৮), সহকারী জুয়েল (৩০), জোবায়ের (২০) ওয়েটার আরিফ (২০), ইকবাল (৩৫), উজ্জ্বল সর্দার (২৩) রাকিব (২৫), শাকিল (২২), ওমর ফারুক (৪৩), সিজান (২৫), রাসেল (৩৫) ইমরানসহ (১৪) ১২ জন।
ঢামেক হাসপাতাল এর জরুরি বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহতরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েক জনের পা ফ্যাকচার হতে পারে আমরা এক্সরে করার পর বলতে পারবো।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। ভবনটি ছয়তলা। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এছাড়া বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে ওই ভবনে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আগুন দ্বিতীয় তলায় লাগলেও তা উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ক্রেনের সাহায্যে আটকে পড়াদের উদ্ধার করেছে।